মোটরসাইকেল চোর চক্রের হোতা ও ছিনতাইয়ের অপরাধে জনতা কর্তৃক আটক ২ আসামি চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় পালিয়ে গেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটলেও তা সাংবাদিকদের আড়াল করার চেষ্টা করা হয়েছে।
Advertisement
অবশেষে বুধবার বিকেলে ঘটনাটি প্রকাশ পায়।চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট এলাকার চিহ্নিত মোটরসাইকেল চোর চক্রের হোতা শফিকুর রহমানের ছেলে মো. সাগর হোসেনকে (৩০) চাঁদপুর মডেল থানার সহকারি উপপরিদর্শক আহসানুজ্জামান লাবু মামলার ভিত্তিতে সোমবার গভীর রাতে আটক করেন। মঙ্গলবার আদালতে নেওয়া হলে জামিনে রয়েছেন জানতে পেরে পুলিশ তাকে পুনরায় থানায় নিয়ে আসে। ওয়ারেন্টের বিষয় যাচাই বাছাই করার জন্য সাগর হোসেনকে মডেল থানার হাজতখানায় রাখা হয়। সাগর ইতিপূর্বে চাঁদপুর শহরে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় বেশ কয়েকবার আটক হয়েছিলেন।জানা গেছে, সাগর অত্যন্ত ধুরন্ধর। তিনি চোখের পলকে মোটরসাইকেল চুরি করে পালিয়ে যেতেন। অপরদিকে মঙ্গলবার রাত ৯টায় শহরের প্রফেসার পাড়া এলাকায় হাফেজ (২৫) ও কসাইকালু (৩০) চাঁদপুর প্রেসক্লাব এলাকায় এক ব্যক্তির কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা ছিনতাই করে পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় জনতা তাদের ধাওয়া করলে কালু পালিয়ে গেলেও হাফেজকে জনতা আটক করে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। ওই দিন রাতে মডেল থানায় ডিউটি করা অফিসার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সালাম হাফেজের নাম ঠিকানা হাজত রেজিস্ট্রিতে লিপিবদ্ধ করেননি। রাত আনুমানিক ২টায় আটক সাগর ও হাফেজ কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য ইউসুফকে প্রকৃতির ডাকে সারা দেওয়ার কথা বললে পুলিশ সদস্য ইউসুফ আসামিদের হ্যান্ডকাপ পরিয়ে বাহিরে নিয়ে যান। ইউসুফের চোখ ফাঁকি দিয়ে ২ আসামি হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় পালিয়ে যান।রাতে এ ঘটনা ঘটার পর চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচ এনায়েত উদ্দিন পিপিএম এর নেতৃত্বে পলাতক আসামিদের খোঁজে বেশ কয়েকটি টিম শহরের সর্বত্র রাতভর অভিযান চালায়। পলাতক আসামি সাগর ও হাফেজের সন্ধানে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।ইকরাম চৌধুরী/এমজেড/আরআই