২০১৫ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স প্রথমবারের মতো যখন বিপিএলে দল নিয়ে আসে, তখন মাশরাফি বিন মর্তুজার কাঁধে চড়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। অথচ গত আসরে এ মাশরাফির অধীনে গ্রুপপর্ব পেরুতে না পারায় ফ্রাঞ্চাইজির সঙ্গে সম্পর্কটা শীতল হয়ে পড়ে টাইগার দলের ওয়ানডে অধিনায়কের।
Advertisement
এবার আর মাশরাফিকে ধরে রাখেনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তামিম ইকবালকে দেয়া হয় নেতৃত্বের গুরুদায়িত্ব। সেই সুযোগে রংপুর রাইডার্সে এক নিমিষেই লুফে নেয় মাশরাফিকে।
মানিক চিনতে ভুল করেনি রংপুর। এর আগে একবারও ফাইনালের দেখা না পাওয়া দলটি এবার মাশরাফির যোগ্য নেতৃত্বেই ওঠে গেছে ফাইনালে। সেটাও আবার সেই দলটিকে হারিয়ে, যেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স নানা ঝামেলার কারণে ছেড়ে দিয়েছিল টাইগার দলের ওয়ানডে অধিনায়ককে।
দুইবার ছিলেন কুমিল্লার অধিনায়ক। সেই দলটিকেই এবার হারিয়ে ফাইনালে মাশরাফি। জবাবটা তো আর মুখে দিতে হয়নি! টাইগার অধিনায়ক যেখানে হাত দেন সেখানে যে সোনা ফলে, সেটা আরও একবার প্রমাণিত!
Advertisement
সোমবার বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তামিম ইকবালের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৩৬ রানে হারিয়েছে মাশরাফির দল। তাতে নিশ্চিত হয়ে গেছে ফাইনালের লাইন-আপ। ফাইনালে ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফির প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ দলের দুই ফরমেটের অধিনায়ক (টেস্ট আর টি-টোয়েন্টি) সাকিব আল হাসান।
কুমিল্লা যদি মাশরাফির একটি ঘর হয়, ঢাকা তো আরেকটি ঘর। দুইবার এই মাশরাফির অধীনেই চ্যাম্পিয়ন হয় ঢাকা। সাবেক দল কুমিল্লাকে যেভাবে বিদায় করে দিলেন মাশরাফি, ঢাকার জন্য সেটা দুশ্চিন্তারই। ফাইনালের প্রতিপক্ষ অধিনায়ক তো তাদেরও সাবেক অধিনায়ক!
এমএমআর/আইআই
Advertisement