তাণ্ডবের মুখে রাখাইন রাজ্য ছেড়ে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ফেরানোর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার। এ ব্যাপারে দু'দেশের মধ্যে চুক্তিও স্বাক্ষর হয়েছে। তবে ফেরার পর রোহিঙ্গাদের পরিণতি ঠিক কী হবে, সে ব্যাপারে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘসহ মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
Advertisement
জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দেয়ার পর সেখানে তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।
জাতিসংঘের অভিযোগ, রোহিঙ্গাদের সেখানে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে বেশ কিছু দুর্বলতা রয়েছে। কারণ, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিয়ে ফিরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা দেখা যাচ্ছে না।
জাতিংসঘের দাবি, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার অাগে তাদের নাগরিকত্ব দিতে হবে। অন্যথায় সেখানে যাওয়ার পর রোহিঙ্গারা আবারও সহিংসতার শিকার হতে পারে।
Advertisement
এর আগেও জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, রোহিঙ্গাদের আন্তর্জাতিক আইন মেনে ফিরিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার যখন রোহিঙ্গা ফেরানোর ব্যাপারে চুক্তি স্বাক্ষর করল, সে সময়ও বিষয়টি ইতিবাচকভাবেই নিয়েছিল জাতিসংঘ।
তবে শরণার্থী ফেরানো যেন আন্তর্জাতিক আইন মেনে করা হয় সে ব্যাপারে জাতিসংঘের পাশাপাশি বাংলাদেশও দাবি জানিয়ে আসছিল। অবশ্য এ ব্যাপারে কর্ণপাত করেনি মিয়ানমার সরকার।
এমনকি রোহিঙ্গা ফেরানোর নির্দিষ্ট সময়সীমাও নির্ধারণ করা হয়নি। মিয়ানমারের দাবি, তারা প্রতিদিন তিনশর বেশি শরণার্থী ফিরিয়ে নিতে পারবে না। সেই হিসেবে রোহিঙ্গা ফেরাতে বেশ কয়েক বছর লেগে যাবে।
আবার বৈধ প্রমণাদি থাকা সাপেক্ষে শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেবে মিয়ানমার। এতে বেশ ভোগান্তিতে পড়তে হবে পরিবার-স্বজন, ঘরবাড়ি ফেলে পালিয়ে আসা এসব মানুষদের।
Advertisement
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও পুলিশের বেশ কিছু তল্লাশি চৌকিতে হামলার অভিযোগে রোহিঙ্গা নিধন শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। জীবন বাঁচাতে এখন পর্যন্ত ছয় লাখ ২৫ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
সূত্র : আল জাজিরা
কেএ/আইআই