খেলাধুলা

টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি চার্লসের

জনসন চার্লস নামটা পরিচিত। তবে এতটা বিধ্বংসী হিসেবে পরিচিতি কখনোই তিনি পাননি। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তাও টি-টোয়েন্টিতে। প্রায় ৬ মাস পর ২০১২ সালের মার্চে সুযোগ পান ওয়ানডেতে। সাদা জার্সি এখনও ওঠেনি তার গায়ে। ঘরোয়া ক্রিকেটে মার-মার কাট-কাট ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিতি রয়েছে বেশ। যে কারণে, টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে দলে সুযোগ পাওয়া তার।

Advertisement

জাতীয় দলে সুযোগ পেলেও নিয়মিত হতে পারেননি। প্রায় ৫-৬ বছরের ক্যারিয়ারে খেলেছেন মাত্র ৮৪টি ওয়ানডে এবং ৩৪টি টি-টোয়েন্টি। যতই মারদাঙ্গা ব্যাটসম্যান হোন না কেন, জাতীয় দলের হয়ে যখন নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না, তখন নিয়মিত হওয়াটা বেশ কঠিন।

তবে চার্লস যে কতটা বিধ্বংসী, সেটা বোঝা গেল এক বছরেরও বেশি সময় আগে। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে ভারতকে নিয়ে ২ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গত বছর আগসের শেষ দিকে। ওই সিরিজের প্রথম ম্যাচে এভিন লুইসকে নিয়ে যে ঝড় তুলেছিলেন চার্লস, সেটা অবাক বিস্ময়ে দেখলো মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং বিরাট কোহলিরা।

ওই ম্যাচে মাত্র ৯.৩ ওভারেই ১২৬ রান তুলে ফেলেছিলেন লুইস আর চার্লস। জুটি ভেঙে যখন চার্লস আউট হন, তখন তার নামের পাশে শোভা পাচ্ছিল ৩৩ বলে ৭৯ রান। ৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৭টি ছক্কা। ওই ম্যাচেই ৪৯ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন এভিন লুইস। এ দু’জনের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত ২৪৫ রান তুলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও ম্যাচটিতে মাত্র ১ রানে জয় পেয়েছিল ক্যারিবীয়রা।

Advertisement

সেই জনসন চার্লসকে নিয়েই এবার ট্রাম্পকার্ড খেললো রংপুর রাইডার্স। তাকে দলে ভেড়ানোর পর অনেকেই চোখ কপালে তুলেছিল, এই চার্লস আবার কী করবেন! বিপিএলে ব্যাট হাতে খেলতে নামার পরও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারলেন না। ৫ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ করেছিলেন ২৬ রান। খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে ইলিমিনেটরে থাকলেও ব্যাট করতে নামতে হয়নি।

ফাইনালে ওঠার শেষ চেষ্টা কোয়ালিফায়ার-২। এমনই এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও কি না ব্যর্থ চালসকে দলে নিয়ে খেলতে নামলো রংপুর টিম ম্যানেজমেন্ট! কোচ টম মুডিই হয়তো ট্রাম্প কার্ডটি এভাবে খেলে দিতে চাইলেন।

বৃষ্টির কারণে দুই দিনে ভাগ হওয়া ম্যাচটিতে প্রথম দিনই ৭ ওভারের মধ্যে ঝড় তুলেছিলেন চার্লস। ২৬ বলে ছিলেন ৪৬ রানের অপরাজিত। বাকি অংশ আজ শুরু হওয়ার পর তার ঝড় অব্যাহত থাকল। ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে নিয়ে ১৫১ রানের ঝড় তুললেন। একই সঙ্গে নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিও উপহার দিয়ে দিলেন তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান ৮৪। আর ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে তার সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ৯৪।

বিপিএলে এসেই টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে সেঞ্চুরির আক্ষেপটা ঘোচালেন লুইস। ৬৩ বলে শেষ পর্যন্ত ১০৫ রানে অপরাজিত থাকলেন তিনি। বাউন্ডারি ৯টি এবং ছক্কা মেরেছেন ৭টি।

Advertisement

এ নিয়ে বিপিএলের ইতিহাসে মোট ১১টি সেঞ্চুরি হলো। এবার হলো দুটি। সর্বোচ্চ ৪টি সেঞ্চুরি করলেন ক্রিস গেইল। জনসন চার্লসছাড়া ১টি করে সেঞ্চুরি করেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল, শাহরিয়ার নাফীস, এভিন লুইস, আহমেদ শেহজাদ, ডোয়াইন স্মিথ এবং সাব্বির রহমান রুম্মন।

আইএইচএস/আইআই