ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য তেমন কোনো সুখবর নেই বরিশাল নগরীতে। যানজট উপেক্ষা করেই তাদের চলাচল করতে হবে নগরীতে। এছাড়া বরিশাল নৌ-বন্দর ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে ঘরেমুখো যাত্রীদের ভোগান্তি রোধে এবার তেমন কোনো পদক্ষেপও গ্রহণ করতে পারেনি জেলা প্রশাসন। ঘরমুখো যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এবং বিআইডব্লিউটিএ ভবনে অনুষ্ঠিত পৃথক দুটি সভায় পুরানো সিদ্ধান্তগুলোই আবারো আলোচনা করা হয়। জেলা প্রশাসক ড. মো. সাইফুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জেলার বিভিন্ন দফতরের শীর্ষ কর্মকর্তা, বাস ও লঞ্চের মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এদিকে, লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি ও নৌ-পুলিশের কর্মকর্তাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিআইডব্লিউটি`র নৌ-নিরাপত্তা শাখার উপ-পরিচালক আবুল বাশার মজুমদার। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় অবৈধ অটোরিকশার জন্য নগরীতে ব্যাপক যানজট নিয়ে আলোচনা করা হয়। তবে অবৈধ অটোরিকশা বন্ধে কার্যকরী কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। সভায় জেলা প্রশাসক ড. মো. সাইফুজ্জামান বলেন, অনেক উচ্ছেদ ও আটক অভিযানের সঙ্গে মানবিক আবেদন জড়িত থাকে। তাই এসব বিষয়ে সতর্ককতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিতে হবে। এ সময় মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মীরগঞ্জ ফেরীঘাটে যাত্রী দুর্ভোগ লাঘবে সেখানে আরো একটি ফেরি দেওয়ার দাবি জানান।এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদ মো. শাহেদ বলেন, সেখানে নতুন একটি ফেরি সরবরাহের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তবে নতুন ফেরি আসতে আরো কমপক্ষে একমাস সময় লাগবে। সে হিসাবে ঈদের আগে নতুন ফেরি পাচ্ছেন না হিজলা-মুলাদীর সড়ক পথের যাত্রীরা। এ সময় লঞ্চঘাট ও নগরীর দুটি বাস টার্মিনালের যাত্রীদের ব্যবহৃত টয়লেটগুলো অপরিচ্ছন্নতা থাকার অভিযোগ করা হলে জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি আফতাব হোসেন ও বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি আজিজুর রহমান শাহীন জানান, টয়লেটগুলো সিটি কর্পোরেশনের অধীন হলেও দায়িত্বরত পরিচ্ছন্ন কর্মীরা কাজ করেন না। অন্যদিকে, বিআইডব্লিউটিএ ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, নৌপথে মাছধরা জাল অপসারণ, ঈদের ১০দিন আগে ও পরে বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল বন্ধ করে দেওয়া, বন্দর এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং উদ্ধারকারী জাহাজ `নির্ভিক` ও `টাগ` স্টান্ডবাই রাখা।এছাড়া লঞ্চঘাট ও বাস টার্মিনালের শৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাব-পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধির পাশাপাশি আনসার, কমিউনিটি পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা কাজ করবেন। সাইফ আমীন/এআরএ/এমআরআই
Advertisement