রাজনীতি

খালেদার দুর্নীতি নিয়ে ইনুর ওপেন চ্যালেঞ্জ

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের দুর্নীতি নিয়ে দলটির নেতাদের ওপেন চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ (একাংশ) সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

Advertisement

সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের এক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন।

তিনি বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে আমরা খোলা চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি। দুটি ঘটনায়, বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন। তার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকা ২০ কোটি ওপরে টাকা সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে জমা হয়েছে। দুটি ঘটনার সঙ্গে সরকার জড়িত নেই।

ইনু বলেন, একটি আমেরিকান সরকারের মামলার মধ্য দিয়ে আরাফাত রহমান কোকার বিরুদ্ধে রায় হয়েছিল। আজকে আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, মওদুদ ভাইসহ যারা কথা বলেন, তারা কালো টাকা সাদা করল কেন? কোকার ২০ কোটি টাকা কোথা থেকে আসল তার কৈফিয়ত দিয়ে অন্য কথা বলবেন।

Advertisement

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়-অসাম্প্রদায়িক পথে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারায় নিয়ে যাচ্ছে। সেই প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়া এবং তার দল বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছে। এমন কী অস্বাভাবিক, অগণতান্ত্রিক পথ অবলম্বন করে জঙ্গি-সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নিয়মতান্ত্রিক সরকারকে উচ্ছেদ করার চক্রান্ত করেছে। সেই চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে। বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি তাদের শাসনামলে মহাদুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিল।

তিনি বলেন, তারা দুর্নীতিকে একটা আর্টে রূপান্তর করে। দুর্নীতিকে সিন্ডিকেটে রূপ দেয়। তারা মানুষও খুন করে। একাত্তরের খুনি, পঁচাত্তরের বঙ্গবন্ধুর খুনি, একুশে আগস্টের খুনি। জঙ্গি-সন্ত্রাসের খুনিদের আস্তানা হচ্ছে বিএনপি। খালেদা জিয়া সেই সিন্ডিকেটের প্রধান। আমরা দাবি করছি, খালেদা জিয়ার দুর্নীতির সব ঘটনা গভীরভাবে তদন্ত করে দেশবাসীকে জানানো হোক। মানুষ পোড়ানোয় খালেদা জিয়ার সরাসরি সম্পৃক্ততা, ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সম্পৃক্ততা আছে, তা তদন্তের মধ্য দিয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

ইনু বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশে সময় মতো সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন করা। একই সঙ্গে দেশকে বাঁচানোর জন্য রাজাকার সমর্থিত, খুনি সমর্থিত খালেদা-বিএনপিকে ক্ষমতার বাইরে রাখা।

এর আগে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে জোটের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি জেপি মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, জাসদ (একাংশ) শরীফ নুরুল আম্বিয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবদুস সোবহান গোলাপ, অসীম কুমার উকিল প্রমুখ।

Advertisement

এইউএ/জেএইচ/আরআইপি