বলা যেতেই পারে জয়া আহসানের দ্বিতীয় বাড়ি এখন কলকাতায়। সেখানে তার আলাদা পরিচয়ও গড়ে উঠেছে। এবং সেটা যথেষ্ট সম্মান ও সমীহ করার মতো। এপাড়ের শিল্পীরা সাধারণত ওপারে গিয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেন না। নানারকম প্রতিবন্ধকতার শিকার হন। তবে মেধা আর যোগ্যতা যে কোনো বাঁধায় আটকে থাকে না টালিগঞ্জের সিনেমায় নায়করাজ রাজ্জাক, ফেরদৌসের পর আবারও তার প্রমাণ দিলেন জয়া আহসান।
Advertisement
তিনি এখন কলকাতার সব নামী নির্মাতাদের সেরা পছন্দের অভিনেত্রী। সমসাময়িক সব নায়িকাদের ঈর্ষার কারণও তিনি। তবে জয়া বিনয়ী, সংযত এবং ভালোবাসার মানুষ। সবার সঙ্গে মিশছেন হৃদ্যতা নিয়েই। তাই অন্যান্য অভিনেত্রীদের সঙ্গে পর্দায় প্রতিযোগিতা থাকলেও বাস্তবে দারুণ সব বন্ধুত্ব সোহিনী, স্বস্তিকা, পায়েলদের সঙ্গে।
সব খবরের সেরা খবরটি হলো বাংলাদের জয়া ২০১৭ সালের সিনেমার হিসেব নিকেষে কলকাতায় সেরা অভিনেত্রীর আসন দখল করেছেন। কলকাতার গণমাধ্যমগুলো সালতামামিতে দাবি করছে, চলতি বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছবি ‘বিসর্জন’। সে ছবিতে জয়া যে দাপট দেখিয়েছেন, সেই দাপট অন্য কোনো নায়িকা এ বছরে দেখাতে পেরেছেন বলে মনে করছে না টালিগঞ্জ। ছবির জাতীয় পুরস্কার থেকে ইফিতে স্ক্রিনিং, পাশাপাশি শহরের দর্শকও সিনেমাহল ভরিয়ে দেখেছেন ‘বিসর্জন’।
অন্য নায়িকারা যখন ভালো আর খারাপ ছবির ফারাক বোঝেননি, এপারের জয়া তখন ছবি নির্বাচনের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সতর্ক ছিলেন। ঠিক সে কারণেই এই মুহূর্তে শহরের অধিকাংশ নামী পরিচালকের পরবর্তী ছবিতে থাকছেন জয়া আহসান।
Advertisement
তার পরপরই উচ্চারিত হচ্ছে সোহিনী সরকারের নাম। তিনি বছর শুরু করেছেন হিট ছবি ‘বিবাহ ডায়ারিজ’ দিয়ে। ‘দুর্গা সহায়’-এর সোহিনীও দারুণ ছিলেন। ‘সব ভূতুড়ে’ ছবিতেও সোহিনী সমালোচকদের খুব বেশি সমালোচনা করার সুযোগ দেননি।
পরের তালিকায় আছেন স্বস্তিকা ও মিমি। এরপর অর্পিতা, পাওলি, নুসরত, পার্নো, শুভশ্রী। তবে এই তালিকার নায়িকারা বছরজুড়েই ভালো ছবির জন্য দৌঁড়েছেন বেশি, সাফল্য মোটের উপর। মোটামুটি ছিলেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও। তবে হতাশাজনক বছর কাটলো গেল কয়েক বছরে বাণিজ্যিক ছবির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য দুই নায়িকা কোয়েল ও শ্রাবন্তীর। সবচেয়ে ফ্লপের নামটি কৌশানীর।
এলএ
Advertisement