শিক্ষা

ভিকারুননিসার বসুন্ধরা দিবা শাখায় প্রথম শ্রেণিতে নির্বাচিত ১৯৮

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের বসুন্ধরা দিবা শাখায় প্রথম শ্রেণিতে ১৯৮ শিক্ষার্থী ভর্তি লটারিতে নির্বাচিত হয়েছে। সোমবার সকালে স্কুলের অডিটরিয়ামে দ্বিতীয় দিনের মতো লটারি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

Advertisement

প্রথমে বসুন্ধরা শাখার প্রভাতি এবং পরে দিবা শাখার ভর্তি লটারি হয়। স্কুল সূত্রে জানা গেছে, ভিকারুননিসা নূন স্কুলে বসুন্ধরা দিবা শাখায় প্রথম শ্রেণির ১৯৮টি আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়। দিবা শাখায় মোট ১১২৭টি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে সাধারণ কোটায় ২১০টি, সেবা অঞ্চল বা এরিয়া কোটায় ১৬৪টি, বোনের কোটায় ৬৮টি, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১৪টি আবেদন লটারির জন্য চূড়ান্ত হয়। স্কুলের শিক্ষক-কর্মচারীর সন্তান কোটায় ৩টি আবেদন ভর্তির জন্য মনোনিত করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

এ শাখায় প্রথম শ্রেণির ভর্তি আবেদনের মধ্যে অসম্পূর্ণ আবেদন ২৬টি, একাধিক আবদেন ৩৫টি এবং আবেদনপত্রের মূল কপি জমা না দেয়ায় ১৫৩টি আবেদন বাতিল হয়।

এসব আবেদনের মধ্যে ভিকারুননিসা বসুন্ধরা দিবা শাখায় ১৯৮টি শূন্য আসনে সাধারণ কোটায় ৮৫ জন, এরিয়া কোটায় ৮০ জন, বোন কোটায় ২০ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ১০ জন ভর্তির জন্য নির্বাচিত হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী কোটায় তিনজন সরাসরি নির্বাচিত হয়।

Advertisement

ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে লটারির দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে ভর্তি লটারি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথমে প্রভাতী শাখা এবং পরে দিবা শাখার লটারি অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি আরও বলেন, লটারির ফলাফল একাধিক রেজিস্ট্রার খাতা এবং এর ভিডিও সিডিতে রেকর্ড করা হয়েছে। কেউ যদি অনিয়মের অভিযোগ করেন তাহলে সেগুলো আবারও পরীক্ষা করে দেখা হবে।

ভর্তি লটারির সময় স্কুলের শিক্ষক, ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন বলেও জানান তিনি।

গত ২৫ অক্টোবর ভর্তি আবেদন শুরু হয় ভিকারুননিসা নূন স্কুলে। অনলাইন আবেদন চলে ১ নভেম্বর পর্যন্ত। ১৬ অক্টোবর ভর্তি সংক্রান্ত বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করার পর দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণির শূন্য আসন সংখ্যা ঘোষণা করে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা হবে।

Advertisement

১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রথম শ্রেণির লটারি কার্যক্রম চলবে।

এমএইচএম/এমএআর/পিআর