বৃষ্টির কারণে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের ৭ ওভার হওয়ার পরই খেলা বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ খেলা বন্ধ থাকার পর যখন আকাশ স্বাভাবিক হয়ে আসছিল, মাঠ প্রস্তুত করা হচ্ছিল, তখন নড়ে-চড়ে বসে পুরো স্টেডিয়ামের গ্যালারি। আবারও খেলা মাঠে গড়ানোর প্রত্যাশায়।
Advertisement
কিন্তু টিভির সামনে যারা বসেছিলেন, তারা সবাই অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করলেন- মাঠের মধ্যে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক তামিম বেশ উত্তেজিত। শুরুতে দেখা গিয়েছিল রংপুর অধিনায়ক মাশরাফির সঙ্গে কথা বলছেন। তবে এ সময় দু’জনকেই দেখা গিয়েছিল হাসিমুখে।
এর একটু পরই দেখা গেলো বিসিবির অন্যতম পরিচালক মাহবুব আনামের সঙ্গে বেশ উত্তেজিতভাবে কিছু বলছেন তামিম। খানিকপর ছুটে গেলেন শেখ সোহেলের দিকে। মাঠ পরিদর্শন শেষে উঠে আসার সময় বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক এবং টেকনিক্যাল কমিটির জালাল ইউনুসের সঙ্গে কথা বলছেন তামিম।
বিসিবির উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা বেশ বোঝানোর চেষ্টা করছেন তামিমকে। কিন্তু কুমিল্লার অধিনায়ক কোনো বুঝই যেন মানতে রাজি নন। জাগো নিউজের পক্ষ থেকে অনুসন্ধা চালানোর চেষ্টা করা হলো- কেন এত উত্তেজিত তামিম এবং কুমিল্লা শিবির!
Advertisement
পরে জানা গেলো, বিপিএল টুর্নামেন্ট কমিটির একটি দাবি নিয়েই এতটা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল ম্যাচের সময় ২ ঘণ্টা বাড়ানোর কথা বললেই ক্ষেপে যান কুমিল্লা শিবির এবং দলটির অধিনায়ক। নির্ভরযোগ্য সূত্রেই জানা গেছে এ খবর। কিন্তু বিপিএল কর্মকর্তাদের ২ ঘণ্টা বাড়ানোর প্রস্তাব কোনোভাবেই মানতে রাজি নন তামিম। খেলা শেষ করার নির্ধারিত সময় হলো ৯.২০ মিনিট। বৃষ্টির কারেণ আন্তর্জাতিক নিয়ম হলো, পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচ হলে ১ ঘণ্টা বাড়ানো যাবে; কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে এটা ২৫ মিনিট থেকে আধাঘণ্টা বাড়ানোর নিয়ম। সে ক্ষেত্রে ম্যাচের সময় কোনোভাবেই ৯টা ৫০ মিনিটের বেশি বাড়ানোর সুযোগ নেই।
তবে বাই লজ অনুযায়ী বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের ক্ষমতা আছে পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করার। সে হিসেবেই গভর্নিং কাউন্সিল খেলার সময় ২ ঘণ্টা বাড়ানোর প্রস্তাব করে। এ বিষয়টি নিয়েই তামিম এবং তার দল এতটা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এটা কোনোভাবেই মানতে রাজি নয় তারা। অবশেষে কুমিল্লাকে প্রস্তাব দেয়া হয়, যে অবস্থায় শেষ হয়েছে সে অবস্থা থেকেই আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু করার। কুমিল্লা এই প্রস্তাব মেনে নেয়। এরপরই ঘোষণা দেয়া হয় খেলা আগামীকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত স্থগিত।
এমনিতেই যে অবস্থা ছিল, এই অবস্থায় যদি খেলা শুরু হতো, তাহলে কুমিল্লাকে ৫ ওভার খেলার সুযোগ দেয়া হতো হতো। তাতে তাদের প্রয়োজন পড়তো ৬২ রান। আর ৭ ওভার খেলার সুযোগ দিলে ৮২ রান করতে হতো তাদের।
এআরবি/আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement