স্বাভাবিকভাবে খেলাটি শেষ হলে ক্রিকেট অনুরাগী দর্শক-সমর্থকদের মধ্যে যেমন ভালো লাগা তৈরি হতো, তেমনি ভাল লাগা থাকতো প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলের খেলোয়াড় এবং কোচ-কর্মকর্তাদের মধ্যেও। কিন্তু বিষয়টা যখন বৃষ্টির, বৃষ্টিতে যখন খেলায় বিঘ্ন ঘটেছে, তখন তো কারও না কারো মন ভাঙবেই। যে দলের অনাকাংখিত বিদায় ঘটবে, সে দলের মন ভাঙাটাই স্বাভাবিক। তারা যে স্বাভাবিকভাবে হেরে বসবে না!
Advertisement
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি রংপুর রাইডার্স এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বৃষ্টির চোখ রাঙানি ছিল সারাদিনই। তবুও সময় মতো টস হলো, মাঠে খেলা গড়ালো; কিন্তু ৭ ওভার খেলা হওয়ার পরই আবার বৃষ্টির হানা। এরপরই লম্বা সময়ের জন্য খেলা বন্ধ। এরই মধ্যে ১ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৫৫ রান তুলে ফেলেছে রংপুর রাইডার্স।
বৃষ্টিতে দীর্ঘক্ষণ খেলা বন্ধ। মাঠ অনুপযুক্ত। ত্রিপল দিয়ে ঢাকা উইকেট এবং মাঠের প্রায় অর্ধাংশ। বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার পর আউটফিল্ডের পানিও শুকানোর চেষ্টা চলছে। অথ্যাৎ বিপিএলের নিয়মানুযায়ী খেলা মাঠে গড়াবে। অন্তত ৫ ওভার খেলা হলে তার ওপর ভিত্তি করেই একটা ফল নির্ধারণ হবে। রংপুর যেহেতু ৭ ওভার খেলে ফেলেছে, তখনকার্টেল ওভারে ম্যাচের অবস্থা কী দাঁড়ায়, সে বিষয়ে এখনও কোনো অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত আসেনি।
তবে বৃষ্টি আইন ডার্কওয়ার্থ-লুইস মেথডে যে হিসাব, তাতে দাঁড়াচ্ছে- রংপুর যে ৭ ওভার খেলেছে সেই ৭ ওভারের ওপরই ভিত্তি করে হয়তো কুমিল্লার সামনে কোনো লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে দেয়া হতে পারে; কিংবা হাতে যে সময় আছে তাতে ৫ ওভারের খেলাও হতে পারে।
Advertisement
আপাতত যে হিসাব পাওয়া যাচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে ৫ ওভারের খেলা হলে কুমিল্লার সামনে দাঁড়াবে ৬২ রানের লক্ষ্য। আর যদি ৭ ওভার ব্যাট করতে হয় কুমিল্লাকে, তাহলে লক্ষ্য দাঁড়াবে ৮২। যদিও অফিসিয়াল ঘোষণা এখনও আসেনি এবং কত ওভারের খেলা হবে, সেটাও বিপিএল কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়নি।
এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম