আলু উৎপাদনের জেলা হিসেবে মুন্সীগঞ্জ খ্যাত। দেশের দুই তৃতীয়াংশ আলু এ জেলাতে উৎপাদন হয়। নদীবেষ্টিত এ জেলার ৬টি উপজেলায় প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়।
Advertisement
পরপর তিন বছর আলুর বাম্পার ফলনের পরও ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছেন স্থানীয় কৃষকসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। চলতি মৌসুমে বীজ আলু বপন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে শুরু হয়ে যায় টানা বর্ষণ। এতে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। এ যেন ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’।
গত কয়েক দিন ধরে আলু রোপণ করছিলেন কৃষকরা। নিম্নচাপের কারণে গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। এতে বীজ আলুর জমিতে বৃষ্টির পানি জমে যায়। ফলে রোপণ করা আলু বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক হুমায়ুন কবীর জানান, চলতি বছর জেলায় ৩৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২৮ হাজার ২২১ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে গত ২ দিনের বৃষ্টিতে জেলার ১ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে রোপন করা বীজ আলু বিনষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
Advertisement
আলুচাষি মজিদ মৃধা জানান, তিনি চলতি সপ্তাহে আলুর বীজ রোপণ করেছেন। এ অবস্থায় বৃষ্টির পানি জমে রোপণ করা আলু বিনষ্ট হয়ে যেতে পারে। কারণ এখনও চারা থেকে অঙ্কুরিত হয়নি। তাই বৃষ্টির পানিতে বীজ পচে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তাতীকান্দি গ্রামের চাষি আক্তার মাহমুদ জানান, তিনি জমিতে যে আলু চাষাবাদ করেছেন-তা বৃষ্টির পানি জমে তলিয়ে গেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে তার জমির বীজ আলু পচে যাবে।
তিনি বলেন, গত মৌসুমে আলুর ফলন ভালো হলেও দাম পাইনি। এবার শুরুতেই বৃষ্টি। এ যেন ‘মরার ওপর খাড়ার ঘা’। বুঝতে পারছি না কি করব।
গত বছর আলু উৎপাদন মৌসুমে বস্তা প্রতি আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ১১ থেকে ১৩০০ টাকা। কিন্তু বিক্রি করতে হয়েছে ৪ থেকে ৬০০ টাকায়।
Advertisement
ভবতোষ চৌধুরী নুপুর/এএম/জেআইএম