প্রযুক্তির উদ্ভাবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকারি বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রগতি লাভ করেছে। এছাড়া ল্যাপটপ, মোবাইল ও ইন্টারনেটের ব্যবহার ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি প্রযুক্তি ও নানা উদ্ভাবনের হাত ধরে পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।’
Advertisement
রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের গ্রিন ভিউ সম্মেলন কক্ষে ‘আগামী দিনের দক্ষতা ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লব’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। এ কর্মসূচি ছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের অংশ।
অনুষ্ঠানে ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে বক্তারা বলেন, ‘ইতোমধ্যে পাবলিক সার্ভিস ইনোভেশন এবং উদ্ভাবনের জন্য বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি লাভ করেছে। টানা ৪ বার প্রযুক্তি খাতে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার ওয়ার্ল্ড সামিট অন দ্য ইনফরমেশন সোসাইটি (ডব্লিউআইসিএস) পুরস্কার অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে স্থান করে নিয়েছে।
তারা বলেন, বর্তমানে সরকারি বিভিন্ন সেবা খাতে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হচ্ছে কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে যে শিল্প ও প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটেছে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনও ততটা উন্নত হয়ে উঠেনি। প্রযুক্তির নানা উদ্ভাবন ও উন্নয়নের ফলে শিল্পক্ষেত্রে দ্রুত অটোমেশন ঘটছে। উৎপাদন ব্যয়ের পাশাপাশি উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ব্যাপকভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও বৃদ্ধি পাচ্ছে।’
Advertisement
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসেন; কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো. আলমগীর, ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল (এনএসডিসি) এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম খোরশেদ আলম।
এছাড়া সঞ্চালনায় ছিলেন এটুআই প্রোগ্রামের পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী। অন্যতের মধ্যে এটুআই, বিজিএমই, বেসিস, আইডিইবি, বিডব্লিউসিসিআই, ব্রাক, আইএলওসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, উন্নয়ন সংস্থা ও বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরএম/এমআরএম/আইআই
Advertisement