খেলাধুলা

শেরে বাংলার উঁচু-নিচু আউটফিল্ডেও পানি জমেনি!

শনিবার মধ্য রাত থেকে যেমন অঝোর ধারায় বৃষ্টি পড়ছিলো, তা দেখে মনেই হয়নি আজ দিনে এ বৃষ্টি থামবে। কিন্তু দুপুর নামার আগেই বৃষ্টি ধরে আসলো।

Advertisement

দুপুর হতেই মিরপুর ও তার আশপাশে বৃষ্টি বন্ধ। আর বৃষ্টি বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে প্রধান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভা মাঠ কর্মীদের নিয়ে নেমে পড়লেন মাঠ পরিচর্যার কাজে।

যেহেতু বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল, তাই প্রস্তুতিও ছিল সেরকম। পিচ এবং ৩০ গজের পুরোটা মোটা প্লাষ্টিক কভারে ঢাকা ছিল। কাজেই পিচ বা বোলিং রান-আপের জায়গার এক ইঞ্চি ভেজার প্রশ্নই আসে না।

তারপরও একটা সংশয় ছিল, বৃষ্টি বন্ধ হলেও খেলা সঠিক সময়ে শুরু হবে তো ? কেন, এমন সংশয় কেন? শেরে বাংলার ড্রেনেজ সিস্টেম তো সব সময়ই খুব আধুনিক ও ভাল। যত জোরে বৃষ্টি পড়ুক, এ মাঠ ৩০ মিনিটের মধ্যেই তৈরী হয়ে যায়। বিগত দিনে ভারী বর্ষণের পরও এক ঘন্টার মধ্যে মাঠ খেলা উপযোগি হয়ে অনেক বড় বড় ম্যাচ হয়েছে এই মাঠে।

Advertisement

কিন্তু আজ একটা অন্যরকম সংশয় ছিল। কারণ শুধু পিচের ক্ষতি হয়নি, ঘাসের ঘনত্ব কমেনি। ঘন সবুজের গালিচার মত আউটফিল্ডই অন্যরকম হয়নি। আরও একটা সমস্যা হয়েছে। এ বছরের শুরুতে মাঠ সংস্কার তথা ওপরের মাটির স্তর সড়িয়ে ফেলার পর থেকে মাঠ চরম অসমতল হয়ে গেছে।

সাধারণতঃ ক্রিকেট মাঠ পিচ থেকে দু দিকেই অন্তত ২৬ ইঞ্চি পরিমাণ ঢালু থাকে। বিশ্বের তাবৎ আউটফিল্ডই এমন। পিচ একটু ওপরে। তারপর থেকে ‘লো’ বা ঢালু। তা ক্রমে এক দুই তিন ইঞ্চি করে বাড়তে বাড়তে বাউন্ডারি সীমানা পর্যন্ত গিয়ে ২৬ ইঞ্চি ঢালু হয়ে যায়।

কিন্ত এবার শেরে বাংলার ওপরের স্তরের অাবরণ সড়িয়ে নতুন মাটি দেয়ার এবং ঘাস লাগানোর পর মাঠ দু দিকে দু'রকম হয়ে গেছে। যা খালি চোখেই ধরা পড়ে। মাঠের পশ্চিম দিক বেশ উঁচু । আর পূর্ব দিক তুৃলনামূলক নীচু। এতে করে পানি জমে থাকার সম্ভাবনা যথেষ্টই।

তবু রক্ষা। উঁচু-নীচু আউটফিল্ডেও পানি জমেনি সেটা মাটির স্তরের নিচে পানি নিষ্কাষণটা ভাল ছিল বলেই। পানি জমেনি। পানি জমলে অবশ্যই মাঠ নরম ও খানিক স্যাঁতসেতে হয়ে যেত। সেই জমে থাকা পানি সরাতে এবং আউটফিল্ডকে খেলা উপযোগি করে তুলতে সময় লাগতো বেশি। খেলা কোনোভাবেই নির্ধারিত সময়ে শুরু করা যেত না।

Advertisement

এমএমআর/জেআইএম