কুয়াকাটার অদূরে বঙ্গোপসাগরের মাঝে আবিষ্কৃত হলো ‘চর বিজয়’। বিজয়ের মাস তাই নামকরণ করা হলো ‘চর বিজয়’। অসংখ্য লাল কাঁকড়া আর লাখো অতিথি পাখির দখলে দ্বীপটি। যার আয়তন আনুমানিক পাঁচ হাজার একর। কুয়াকাটা থেকে দক্ষিণ-পূর্ব কোণে ৩০ কিলোমিটার দূরে চরটির অবস্থান।
Advertisement
পর্যটন শিল্পের বিকাশে কুয়াকাটাকে আরও এগিয়ে নিতে নতুনের সন্ধানে বের হয় কুয়াকাটা সী ট্যুরিজম নামের একটি সংগঠন। সমুদ্রপথে ঘুরতে ঘুরতে দেখা মেলে দৃষ্টিনন্দন দ্বীপটির। দ্বীপটির চারপাশে জেলেরা মাছ শিকার করে। মাসখানেক পরে দুই মাসের জন্য অস্থায়ীভাবে বাসা তৈরি করে বসবাস করবে তারা। জেলেরা দ্বীপটিকে ‘হাইরের চর’ নামে চেনে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বর্ষার ছয় মাস চরটি হারিয়ে যায় পানির নিচে। শীতের মৌসুমে আবার জেগে ওঠে। শুরু হয় অতিথি পাখির কলরব আর লাল কাঁকড়ার বিচরণ। কুয়াকাটা থেকে দেড় ঘণ্টায় পৌঁছানো যায় এ দ্বীপে। ঢাকার বনশ্রী থেকে ঘুরতে আসা দম্পত্তি সীমা আক্তার বলেন, ‘আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্যুর করছি, কিন্তু সমুদ্রের মধ্যে এতো সুন্দর একটি দৃশ্য দেখবো, তা কল্পনা করিনি। চরটি কুয়াকাটার জন্য আশীর্বাদ।’
কুয়াকাটা সী ট্যুরিজমের অ্যাডমিন জনি আলমগীর বলেন, ‘সমুদ্রের মধ্যে এতো সুন্দর একটি চর জেগে আছে, আগে জানতাম না। এখন সরকারি-বেসরকারিভাবে প্রচার করে বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।’ কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, ‘আমি সত্যিই অভিভুত চরটি দেখে। বিশেষ করে অতিথি পাখির ওড়াউড়ি আর লাল কাঁকড়ার বিচরণ আমাকে মুগ্ধ করেছে।’
Advertisement
কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি/এসইউ/জেআইএম