অনেক নাটকীয়তা শেষে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সংগীত পিপাসুদের প্রিয় উৎসব বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীতের আসর। আগামী ২৬ ডিসেম্বর ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে উৎসবটির ষষ্ঠ আসর বসবে। টানা পাঁচদিন চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
Advertisement
প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হয়ে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত উৎসব চলবে। রাত ১২টায় গেট বন্ধ হয়ে যাবে, বের হওয়া গেলেও আর প্রবেশ করা যাবে না। আবাহনী মাঠের পাশে আবাসিক এলাকা হওয়ায় বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে শব্দ ছড়ানো নিয়ন্ত্রণ করা হবে। থাকছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
প্রতিবছরের মতো অনলাইনে নিবন্ধনের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হবে উৎসবে প্রবেশ পাস। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের কার্যক্রম। বিনামূল্যে এই নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে সীমিত সময়ের জন্য। www.bengalclassicalmusicfest.com থেকে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। অনলাইনের বাইরে ধানমণ্ডির ৭/এ সড়কের ৬০ নম্বর বাড়ির জ্ঞানতাপস আবদুর রাজ্জাক বিদ্যাপীঠ এবং এয়ারপোর্ট রোডের খিলক্ষেতের বেঙ্গল সেন্টারে সরাসরি নিবন্ধন করা যাবে। ২৬ ডিসেম্বর উৎসবের উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি হিসেবে আসবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, আবাহনী লিমিটেডের সভাপতি সালমান এফ রহমান, ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ও স্কয়ার গ্রুপের পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী।
বেঙ্গল উৎসবের বিস্তারিত জানাতে আজ রোববার সকালে রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। সেখানে এসব তথ্য জানান আয়োজক প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের পরিচালক নুভা নাহিদ চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু, স্কয়ার গ্রুপের পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী ও ব্র্যাক ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কমিউনিকেশনস জারা জাবীন মাহবুব। আবুল খায়ের লিটু বলেন, ‘ভেন্যু সমস্যায় শংকায় ছিলো এবারের উৎসবটি। অবশেষে সবার সমর্থন ও প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত উৎসব হতে যাচ্ছে। আমরা খুব আনন্দিত। আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারকে অনেক ধন্যবাদ। আশা করছি এবার আরও বেশি জমজমাট হবে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব।’
Advertisement
তিনি আরও বলেন, এবারে উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে গবেষক, চিন্তাবিদ ও শিক্ষাবিদ ড. আনিসুজ্জামানকে।
এবারের উৎসবে যোগ দিতে ঢাকায় আসছেন পদ্মবিভূষণ পণ্ডিত যশরাজ, গ্র্যামি বিজয়ী পণ্ডিত বিশ্বমোহন ভট্ট, বিদুষী কালা রামনাথ, গ্র্যামি জয়ী পদ্মভূষণ বিদ্বান ভিক্কু বিনায়করাম, বিশিষ্ট ওডিশি নৃত্যশিল্পী সুজাতা মহাপাত্র, সেতার বাদক পণ্ডিত বুধাদিত্য মুখার্জি, সাসকিয়া রাও, বিদূষী পদ্মা তলওয়ালকার, পণ্ডিত রনু মজুমদারসহ বিশ্ব বিখ্যাত বহু শিল্পী।
আয়োজনে মধ্যমণি হিসেবে উপস্থিত হবেন পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা, হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, ওস্তাদ রশিদ খান, ওস্তাদ শাহিদ পারভেজ খান প্রমুখ। বিদেশি শিল্পীদের পাশাপাশি থাকছে বাংলাদেশি শিল্পীদেরও পরিবেশনা।
নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিবারের ন্যায় এবারেও থাকবে কিছু বিধি-নিষেধ। মাঠে ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের আনা যাবে না। মাঠে গাড়ি পার্কিংয়ের কোনো ব্যবস্থা থাকবে না। মাঠে একাধিকবার প্রবেশ ও প্রস্থান করা যাবে না।
Advertisement
এলএ