গাজীপুরের কালীগঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সামাজিক অনুষ্ঠান কীর্তনের জন্য দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় মহর চাঁন বিশ্বাস নামে (৫৫) এক ব্যক্তিকে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। পরে চেকের সাদা পাতায় স্বাক্ষর নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয় নির্যাতনকারীরা।
Advertisement
এ ব্যাপারে শনিবার নির্যাতনের শিকার মহর চান বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলম চাঁদ। নির্যাতনের শিকার মহর চান বিশ্বাস উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের বরকাউ গ্রামের মৃত হর মহন বিশ্বাসের ছেলে। স্থানীয়ভাবে তিনি মুড়ি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। মহর চান বিশ্বাসের ছেলে অমৃত বিশ্বাস বলেন, ‘প্রতিবারের মত স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সহযোগিতায় এলাকায় কীর্তনের আয়োজন করে। গত ৭ তারিখে তাদের বাড়িতে গিয়ে তার বাবার কাছে আর্থিক সহযোগিতা হিসেবে বড়কাউ গ্রামের মৃত চান মোহন মল্লিকের ছেলে ভূপেন মল্লিক (৬০), মৃত সুরেন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে সুকমল বিশ্বাস (৩৫) ও রূপচান বিশ্বাসের ছেলে শিপুল বিশ্বাস (২৪) ৭ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু তার বাবা দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে পারবে না বললে তারা চটে যান এবং চাপ প্রয়োগ করেন।
ওইদিন সন্ধ্যায় একই গ্রামের মোতালিবের ছেলে হাফিজুল মিয়া (৩৫) ও জালাল উদ্দিনের ছেলে সোহেল (৩০) তার বাবা মহর চান বিশ্বাসকে কথা আছে বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে বড়কাউ বাজারের দক্ষিণ পাশে নির্জন স্থানের একটি ঘরে নিয়ে উপরোক্ত ৫ জনসহ অজ্ঞাত আরো ২-৩ জন মিলে রড ও গাছের ডাল দিয়ে নির্যাতন চালায়। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এসময় তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়।
পরে প্রায় তিন ঘণ্টা নির্যাতন শেষে বাড়িতে ফোন করে একটি সাদা চেকের পাতায় তার মায়ের স্বাক্ষর নিয়ে বাবাকে ছেড়ে দেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে টঙ্গীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
Advertisement
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলম চাঁদ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রমাণিত হলেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া অভিযুক্তদের আটকের ব্যাপারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আব্দুর রহমান আরমান/এফএ/এমএস