১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার ঘটনা জাতিসংঘে উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে এ গণহত্যার ঘটনা উপস্থাপন করেন।
Advertisement
গণহত্যা কনভেনশনের ৬৯তম বার্ষিকী, গণহত্যার শিকার মানুষ ও তাদের মর্যাদার স্মরণ এবং গণহত্যা প্রতিরোধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছিল।
রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘সাম্প্রতিক অতীতে ঘটে যাওয়া গণহত্যার ঘটনাগুলো বিস্মৃত হওয়ার আগেই তা সম্মিলিতভাবে আমাদের পুনরুদ্ধার করতে হবে। আমরা এর মর্মবেদনা বুঝতে পারি। কেননা আমরা নিজেরাই ১৯৭১ সালে নিষ্ঠুরতম গণহত্যার শিকার হয়েছিলাম। ’
অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিবের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্থার আইন সম্পর্কিত ও আইন কাউন্সিলের দায়িত্বে নিয়োজিত আন্ডারসেক্রেটারি জেনারেল মিগুয়েল ডি শেপরা সোয়ারেজ।
Advertisement
অনুষ্ঠানে মূল বক্তা ছিলেন জাতিসংঘের গণহত্যা প্রতিরোধবিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা অ্যাডাম ডায়িং। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রেসিডেন্ট সিলভিয়া ফার্নান্দেজ ডি গুরম্যান্ডি, আরমেনিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি জোহ্রাব মনাটসসাকানিয়ান, বেনিনের স্থায়ী প্রতিনিধি জিন-ক্লাউডি পেলিক্স দো রিগো। তারা গণহত্যা কনভেনশনের উন্নয়ন, বর্তমান চ্যালেঞ্জ ও অনুস্বাক্ষরকারী দেশগুলোর দায়বদ্ধতার বিষয়ে আলোকপাত করেন।
বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাজ্য, লাটভিয়া, তুরস্ক, আজারবাইজান, মেক্সিকো ও সুদানের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। তারা এ ঘৃণ্য অপরাধ প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান।
এমএমজেড/এমএস
Advertisement