জাতীয়

মায়ার মামলা ফেরত দিয়েছে আদালত

দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মামলা ফেরত দিয়েছে আদালত। রাজনৈতিক মামলা হওয়ায় আদালত এটি শুনতে অপারগতা প্রকাশ করে মামলাকারী আইনজীবীকে ফেরত দেন আদালত।বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ অপারগতা প্রকাশ করেন। এর আগে মঙ্গলবার সকালে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ মায়া কোন ক্ষমতাবলে মন্ত্রী ও এমপি পদে বহাল আছেন তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন দায়ের করেন। রিটে ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জাতীয় সংসদের স্পিকারকে বিবাদী করা হয়। উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন দুর্নীতির মামলায় খালাসের রায় বাতিল হওয়ার পর কোন কর্তৃত্ববলে এখনো মন্ত্রী ও এমপি পদে বহাল রয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মায়া তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানতে চেয়ে  মায়াকে একটি উকিল নোটিস পাঠিয়েছিলো আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ। তার জবাব না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবী। নোটিসে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬ এর ২ (ঘ) দফা অনুসারে দণ্ডিত ব্যক্তি সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী পদে থাকতে পারেন না। সংবিধানের ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়, সংসদে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা ও অযোগ্যতার বিষয়ে বলা হয়েছে, যদি কেউ নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছরকাল অতিবাহিত না হয়ে থাকে, তবে তিনি সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না।কারণ গত ১৪ জুন একটি দুর্নীতির মামলায় মায়াকে খালাস করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করে নতুন করে আপিল শুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ।আপিল বিভাগের এই রায়ের পরে মায়ার পদে থাকা নিয়ে দুই রকম বক্তব্য আসে। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড.কামাল হোসেন বলেছেন, মন্ত্রী পদে মায়া থাকবেন কি না তা নির্ধারণ করবে হাইকোর্ট। অপরদিকে মায়ার আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদারের দাবি, যেহেতু আপিল বিচারাধীন, সেহেতু মন্ত্রিত্ব ও সংসদ সদস্য পদ নিয়ে ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদটি এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলমের মায়ার সংসদ সদস্য পদ ধরে রাখা এখন উচিত নয় বলে দাবি। এফএইচ/এএইচ/এমএস

Advertisement