আজ সকাল ১১টা নাগাদ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণের পর সোজা পাঁচ তারকা হোটেল ‘র্যাডিসনে’ চলে আসেন বাংলাদেশের সদ্য সাবেক হওয়া কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
Advertisement
তার র্যাডিসনে চেক ইনের কয়েক ঘণ্টা পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও চলে আসেন র্যাডিসনে। সকালে ঢাকার ক্রিকেট পাড়া এবং মিডিয়া অঙ্গনে জোর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল, চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সাথে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতেই হয়তো র্যাডিসন যাচ্ছেন বিসিবি বিগ বস।
আসলে বিষয়টা তা নয়। বিসিবি সভাপতি পাঁচ তারকা হোটেল র্যাডিসনে গিয়েছিলেন জাতীয় দলের তিন অধিনায়ক মাশরাফি, মুশফিক, সাকিব এবং ঢাকায় থাকা জাতীয় দলের কোচিং স্টাফদের সাথে বৈঠক করতে।
খুব কাছাকাছি থাকলেও সাবেক কোচ হাথুরুসিংহের সাথে দেখা না করেই হোটেল ছেড়ে যান নাজমুল হাসান পাপন। দুপুর গড়িয়ে বিকেল নামতেই র্যাডিসন ছাড়ার ঠিক আগে তিনি যখন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছিলেন, তখন প্রশ্ন করা হলো আপনার সাথে কি হাথুরুসিংহের দেখা হয়েছে? কি কথা হলো তার সাথে?
Advertisement
জবাবে নাজমুল হাসান পাপন যা বলেছেন, তার সারমর্ম হলো- আসলে হাথুরুসিংহে তার সাথে দেখা করার জন্য নয়, এসেছেন তার চাকরি সংক্রান্ত বিষয় চোকাতে। যা মূলতঃ বিসিবি প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাই তার হাথুরুর সাথে দেখা সাক্ষাত খুব জরুরী নয়।
এ কারণেই বিসিবি সভাপতির মুখে এমন কথা , ‘হাথুরুসিংহের সঙ্গে আমার এখনও কথা হয়নি। আমার জানা মতে, তিনি এসেছেন উনাদের (বিসিবি সিইও সুজন ও কোচ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত তিন পরিচালক আকরাম খান, জালাল ইউনুস ও আই এইচ মল্লিক) সঙ্গে বসবে। যে ফরম্যালিটিজ আছে সেগুলো করবে। আমার সাথে দেখা হয়নি। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে হয়ত আমার সাথে একবার দেখা হবে।’
এটুকু বলে নাজমুল হাসান পাপন বলে ওঠেন, ‘আবার দেখা নাও হতে পারে। আবার হতেও পারে। ওরা কথা বলবে। ওদের সাথে কথা বলার পর যদি আমার সাথে দেখা হয় তাহলে কথা হবে।’
পাপনের কথায় পরিষ্কার অধ্যায় শেষ করেছেন হাথুরুসিংহে নিজে। বোর্ডের ইচ্ছেয় নয়। পাপনের কথা শুনে মনে হলো, তিনি সব সময় চেয়েছেন হাথুরুই কোচ থাকুক এবং তিনি এখনো তাই চান; কিন্তু কি আর করা? হাথুরু স্বেচ্ছায় যে বাংলাদেশের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন!
Advertisement
এ সত্যর প্রমাণ মিলবে বিসিবি সভাপতির এই মন্তব্যে, ‘সে আমাদের এখানে কোচ হিসেবে ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের সফল একজন কোচ। বাংলাদেশ আজকের এ পর্যায়ে এসেছে সেখানে তারও অবদান রয়েছে। এটা অস্বীকার করার কোনো কারণ নেই, সে যদি সেচ্ছায় না যেত, তাহলে আমরা তাকে অবশ্যই রেখে দিতাম। আমি আগেই বলেছিলাম কেউ যদি থাকতে না চায় তাহলে তাকে জোর করে রাখার প্রয়োজন নেই। আমি এখন পর্যন্ত একবারও বলিনি যে, তুমি যেও না। সে যখন মনস্থির করেছে যে এবং শ্রীলঙ্কা তাকে কোচ নিয়োগ করেছে তাহলে তো এ ব্যাপারে কথা বলার কোনো প্রয়োজন নেই। এখন যেটা হবে সেটা সৌজন্য সাক্ষাৎ।’
এআরবি/আইএইচএস/আরআইপি