দেশজুড়ে

অ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিৎসকের ঈদ শপিং

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা অ্যাম্বুলেন্সে করে দিনভর ঈদের কেনাকাটা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় হাসপাতাল থেকে বের হয়ে রংপুর বিভাগীয় শহরে শপিং শেষে অ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতালে পৌঁছে সন্ধ্যা ৭টার দিকে।এদিকে অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে দুর্ঘটনায় হাত ভেঙে যাওয়া হাতীবান্ধা উপজেলার চরহলদী বাড়ি গ্রামের শামছুল হক ট্রেনে করেই যান রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অ্যাম্বুলেন্সে করে শপিং করা হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা হলেন, হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. নাঈম হোসেন, ডা. আক্কাছুর রহমান, মেডিকেল সহকারী আনোয়ারুল ইসলাম, রুবেল হোসেন ও ওয়ার্ড বয় আক্তার হোসেন। অ্যাম্বুলেন্সের চালক দবিয়ার রহমান জানান, ডা. নাঈম হৃদরোগে অসুস্থতাবোধ করায় তাকে নিয়ে রংপুর যাওয়া হয়েছিল। তবে ডা. নাঈমের কাছ থেকে রংপুরের চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র দেখতে চাইলে তিনি যৌন ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. লুৎফর রহমানের দেয়া আক্তারুজ্জামান নামে এক রোগীর কাগজপত্র দেখান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা শামছুল হক জানান, হাসপাতালে দীর্ঘক্ষণ অ্যাম্বুলেন্সে অপেক্ষায় থেকে দুপুরের ট্রেনে করে রংপুর এসেছি। এ হাসপাতাল গরিব রোগীর জন্য নয়, টাকাওয়ালা আর চিকিৎসকদের। হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা হাসপাতালে থাকেন না বলে এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেছেন। রোববার চিকিৎসকের অবহেলায় আলমগীর হোসেন নামক এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা মরদেহ নিয়ে লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়ক ৪ ঘণ্টা অবরোধ করে হাসপাতাল ভাঙচুর করে।এ ব্যাপারে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রমজান আলী জাগো নিউজকে জানান, ডা. নাঈম রংপুর যাওয়ার কথা বলে গেছেন। তবে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সবাই এক সঙ্গে যাওয়াটা ঠিক না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।রবিউল হাসান/এসএস/এমএস

Advertisement