স্বাস্থ্য

যা বলি তাই করি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী যা বলে তাই করে। নানা জটিলতার কারণে অন্যান্য প্রকল্পের কাজে ধীরগতি দেখা দিলেও বিশ্বের সর্ববৃহৎ ৫শ’ শয্যার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সার্বিক কার্যক্রম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে চলছে। এ প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণ কাজে কোনো প্রকার অবহেলা সহ্য করা হবে না।

Advertisement

শনিবার দুপুরে রাজধানীর চাঁনখারপুলে ৫২২ কোটি ৩৯ লাখ ৩৭ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিতব্য শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ইনস্টিটিউটের নির্মাণ কাজ শুরু করে। ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্প মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়।

এ ইনস্টিটিউটের নির্মাণ কাজে সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাকিল। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে শাকিল জানান, ইতোমধ্যেই ৩টি বেইজমেন্টের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ছয়তলার ছাদের জন্য কলাম ও সাটারিংয়ের কাজ চলছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যন্ত্রপাতিসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপকরণ পেলে মেয়াদের আগে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করে ইনস্টিটিউটের জন্য ভারি ও মাঝারি ধরনের যন্ত্রপাতি (প্যাথলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, হেমাটোলজি, হিস্টোপ্যাথলজি, এমআরআই, সিটি স্ক্যান, আইসিইউ, ওটি ও এইচডিইউ (হাই-ডিপেনডেনসি ইউনিট) ক্রয় ও সংগ্রহ করতে ৯ মাস সময় লেগে যায়। তাই চলতি মাসের শুরুতেই আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের প্রক্রিয়া শুরু করা প্রয়োজন।

Advertisement

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যথা সময়ে কাজ সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় সব করা হবে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বার্ন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা গৌরবের বিষয়। নানা জটিলতার কারণে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে ধীর গতি দেখা গেলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বার্ন ইনস্টিটিউটের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে।

মন্ত্রী বলেন, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি জামায়াত সন্ত্রাস চালিয়ে বহু মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে আহত করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মায়ের মমতা, বোনের স্নেহ নিয়ে পোড়া রোগীদের দেখতে বার বার ঢামেকে ছুটে এসেছেন। তাদের কষ্ট দেখে বড় বার্ন হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তারই নির্দেশনায় নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বার্ন ইনস্টিটিউট স্থাপনের কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এমইউ/এমআরএম/জেআইএম

Advertisement