এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের প্রধান আকর্ষণ ছিল সিঙ্গাপুরে তৈরি ও সৌদি আরবের নাগরিকত্ব পাওয়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন রোবট সোফিয়া। মঙ্গলবার ভোরে ঢাকায় পৌঁছায় সোফিয়া এবং এর নির্মাতা ডেভিড হ্যানসন।
Advertisement
এদিন বেলা আড়াইটায় ‘টেক টক উইথ সোফিয়া’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বুধবার ভোর রাতে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে সোফিয়া। ২৪ ঘণ্টারও কম সময় ঢাকায় অবস্থান করে এ রোবট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনায় শীর্ষে পৌঁছে যায়।
সবারই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিল রোবট সোফিয়ার নানা দিক। তবে সোফিয়াকে বাংলাদেশে আনতে কত টাকা খরচ হয়েছে তা নিয়ে শুরু হয় নানা বিভ্রান্তি। ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা খরচ করে সোফিয়াকে আনা হয়েছে দাবি করে অনেকে ফেসবুকে সমালোচনাও করেন।
এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চায়, তারা বিষয়টি নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নানারকম প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। সেসব গুজবে কান না দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের গড়ার পথে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সোফিয়াকে বাংলাদেশের আনার পুরো খরচ বহন করেছে স্পন্সর প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ।’
Advertisement
এ প্রসঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আরাস্ত খান জাগো নিউজকে বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক সব সময় বিজ্ঞান ও আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এরই অংশ হিসেবে রোবট সোফিয়াকে বাংলাদেশে প্রদর্শনের জন্য স্পন্সর করেছে ইসলামী ব্যাংক। এ রোবটকে দেখতে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী এসেছিল। তারা উৎসাহ পেয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির ও বিজ্ঞান বিষয়ে অনেক ধারণা নিয়েছে এটাই আমাদের স্বার্থকতা।’
রোবট সোফিয়াকে বাংলাদেশে আনতে কত টাকা খরচ হয়েছে জানতে চাইলে এ প্রতিবেদককে আরাস্ত খান বলেন, ‘আপনি কত ধারণা করছেন? খুবই অল্প খরচে এটি আনা হয়েছে। যা আপনাদের ধারণায় নেই।’
সুনির্দিষ্ট কোনো অর্থের পরিমাণ না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রোবট সোফিয়ার পেছনে এক কোটিরও কম টাকা খরচ হয়েছে।’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, ‘রোবট সোফিয়াকে বাংলাদেশে আনার পেছনে প্রায় ৯০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে।’
Advertisement
এসআই/এএ/এসএইচএস/আরআইপি