রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় একযোগে ১২ আওয়ামী লীগ নেতা পদত্যাগ করেছেন। শুক্রবার তারা জেলা আওয়ামী লীগ বরাবর পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে।
Advertisement
পদত্যাগকারীরা হলেন, জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অনিল কুমার চাকমা, কালাধন চাকমা, যুগ্ম সম্পাদক পবন বিকাশ চাকমা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক দীপংকর কার্ব্বারি, উপজেলা যুবলীগের অর্থ সম্পাদক উত্তম কুমার চাকমা, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক টুনি চাকমা, জুরাছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হৃদয় রঞ্জন চাকমা, উপজেলা কৃষক লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সনদ কুমার চাকমা, কার্যকরী কমিটির সদস্য ফুলেশ্বর চাকমা, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক রপ্তদ্বীপ চাকমা (রকি), দুমদুম্যা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রাজিয়া চাকমা, বনযোগীছড়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড সদস্য কৃষ্ণা চাকমা।
পদত্যাগের বিষয়ে তারা বলেছেন, ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সমস্যার কারণে দলীয় সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে স্বেচ্ছায় অব্যহতি নিচ্ছেন তারা। তারা এরই মধ্যে দলের সাংগঠনিক নিয়ম অনুসারে জেলা কমিটির কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বর জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি এখনও পুরোপুরি অবগত নন। তবে তা যদি হয়ে থাকে সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী পরবর্তী দলীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
উল্লেখ্য, ৫ ডিসেম্বর জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগের সহ-সভাপতি অরবিন্দু চাকমাকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া একই দিন বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাসেল মারমাকে পিটিয়ে এবং বৃহস্পতিবার ভোরে রাঙামাটি শহরে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ঝরনা খীসাকে কুপিয়ে আহত করা হয়।
রাসেল মারমা এবং ঝরনা খীসার ওপর হামলার ঘটনায় এরই মধ্যে বিলাইছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান শুভমঙ্গল চাকমাসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অরবিন্দু চাকমা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বৃহস্পতিবার জুরাছড়ি থানায় বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ ১৫-২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. মাঈন উদ্দিন। তবে এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
সুশীল প্রসাদ চাকমা/এফএ/এমএস
Advertisement