বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে মামলা করার পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক এবং আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদানকারী আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সুইফটের সঙ্গে আলোচনা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
Advertisement
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্ক ও আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদানকারী আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক সুইফটের সঙ্গে আলোচনা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংককে আইনি পরামর্শ দিচ্ছেন এ রকম একজন ওই বৈঠকে আরসিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করার বিষয়টি তোলেন। বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো লিখিত প্রস্তাব পাঠালে তা বিবেচনা করে দেখা হবে বলেও বৈঠকে আশ্বাস দেন ফেডের কর্মকর্তারা।
প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধারের জন্য আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিল নাগাদ এ মামলাটি করা হবে নিউইয়র্কে। বাংলাদেশ আশা করছে ফেডারেল রিজার্ভ ও সুইফট কর্তৃপক্ষও সেখানে বাদি হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। শিগগিরই তা নিউইয়র্কে পাঠানো হবে বলে।
তবে মামলার বিষয়ে ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি। ওই মামলায় তারা বাদি হবে কি-না -এমন কোনো ইঙ্গিতও পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেছেন, মামলার ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই। তবে রিজার্ভ চুরির পুরো অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
Advertisement
উল্লেখ, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (নিউইয়র্ক ফেড) রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ২ কোটি ডলার চলে যায় শ্রীলঙ্কায় আর বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের আরসিবিসিতে। ব্যাংকটির মাধ্যমে স্থানীয় মুদ্রায় বদলে ফিলিপাইনের ক্যাসিনোতে (জুয়া খেলার জায়গা) চলে যায় বেশির ভাগ অর্থ।
শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২ কোটি ডলার ফেরত পাওয়া গেছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়। পরে ফিলিপাইনের সিনেট শুনানির মাধ্যমে উদ্ধার হওয়া ১ কোটি ৫২ লাখ ডলার ফেরত পায় বাংলাদেশ।
এসআই/আরএস/এমএস
Advertisement