বিশেষ প্রতিবেদন

নতুন ৯ ব্যাংকের অবস্থা নাজুক

বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না রাজনৈতিক বিবেচনায় লাইসেন্স পাওয়া চতুর্থ প্রজম্মের নতুন নয় ব্যাংকের। নানা অনিয়ম ও আগ্রাসী ব্যাংকিংয়ে জড়িয়ে পড়ায় বাড়ছে খেলাপি ঋণ। পরিচালকদের ঋণ ভাগাভাগিতে চলছে অসুস্থ প্রতিযোগিতা। এসব অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় লাভ তো দূরের কথা মূলধনই খেয়ে ফেলছে তারা।

Advertisement

কেন্দ্রীয় ব্যাংক একাধিক বিষয়ে সতর্ক ও নির্দেশনা দিয়েও তাদের শৃঙ্খলায় আনতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে হুমকিতে পড়েছে এসব ব্যাংক, ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে আর্থিক খাত।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাজনৈতিক বিবেচনায় লাইসেন্স পায় নয় ব্যাংক। ফলে তারা কোনো নিয়মের তোয়াক্কা করছে না। এসব ব্যাংকের বেশিরভাগ পরিচালক ব্যাংকিং বিষয়ে কোনো ধারণা নেই। আমানতকারীর অর্থ নিজের মনে করে লুট করছেন তারা।

ব্যাংকগুলোর অনুমোদনের পূর্ব শর্ত ছিল, কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে গুরুত্ব দেয়া এবং সেবায় নতুনত্ব আনা। কিন্তু নতুন পণ্য তো দূরের কথা অসুস্থ প্রতিযোগিতায় আগ্রাসী ব্যাংকিং চালাচ্ছে তারা। এভাবে চলতে থাকলে অস্তিত্ব হারাবে এসব প্রতিষ্ঠান। বিপাকে পড়বেন আমানতকারীরা। তাই অনিয়ম রোধে এখনই নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে শক্তভাবে হস্তক্ষেপ করতে হবে। অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

Advertisement

রাজনৈতিক বিবেচনায় ২০১২ সালে অনুমোদন দেয়া হয় চতুর্থ প্রজন্মের নয় নতুন ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগের ব্যাংক রয়েছে তিনটি- এনআরবি, এনআরবি গ্লোবাল ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক। বাকি ছয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছেন দেশীয় উদ্যোক্তরা। এগুলো হলো- ইউনিয়ন, মেঘনা, মিডল্যান্ড, মধুমতি, দ্য ফারমার্স ও সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী বলেন, নতুন নয় ব্যাংকের মধ্যে দু-তিনটির অবস্থা খুবই নাজুক। এদের মধ্যে এক ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে। এ অসুস্থ প্রতিযোগিতার কারণে তারা পিছিয়ে পড়ছে। তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে। সার্বিকভাবে তাদের মনিটরিং করা হচ্ছে।

এদিকে হাইকোর্টের দেয়া এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন ব্যাংক লুটপাটের বিষয়গুলো খুব শক্তভাবে দেখা দরকার। তা না হলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে। ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় বেসিক ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ফজলুস সোবহানকে জামিন সংক্রান্ত রুলের শুনানিতে সম্প্রতি হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।

ব্যাংকগুলো প্রতিষ্ঠার পর নিয়মিত কার্যক্রমের শুরু থেকে অনিয়ম আর দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। ধারাবাহিকভাবে বাড়ে খেলাপি ঋণ। তারল্য সংকটসহ মূলধন ঘাটতিও দেখা দেয়। ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অপসারণসহ চেয়ারম্যানও পদত্যাগ করেছেন বেশ কয়েকটি ব্যাংক থেকে। দ্য ফারমার্স ব্যাংককার্যক্রম শুরুর পর থেকে অনিয়ম আর দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমানে সরকারি হিসাব-সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ফারমার্স ব্যাংক। তারল্য সংকটসহ আর্থিক সূচকও অবনতি হয়েছে ব্যাংকটি। ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে খেলাপি ঋণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চতুর্থ প্রজম্মের এ ব্যাংকের খেলাপি ঋণ প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ফারমার্স ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বেড়ে হয়েছে ৩৭৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ বিতরণ ঋণের ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশই খেলাপি। এর মধ্যে আদায় অযোগ্য ঋণের পরিমাণ ২৩৮ কোটি টাকা। শীর্ষ ১০ খেলাপি গ্রাহকের কাছেই ব্যাংকটির পাওনা ১৩৪ কোটি টাকা। সর্বশেষ ব্যাংকটির আসল খেয়ে এখন ৭৫ কোটি টাকা মূলধন ঘাটতিতে রয়েছে। এসব অনিয়মের দায় মাথায় নিয়ে চেয়ারম্যান পদ ছেড়েছেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর। পুনর্গঠন হয়েছে পরিচালনা পর্ষদ। এমডি এ কে এম শামীমকে অপসারণের নোটিশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন ব্যাংকটি ঠিক মতো চলছে কি না, তা নজরে রেখেছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা।

Advertisement

এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকবেনামি শেয়ারহোল্ডার, বহিরাগতদের পর্ষদ সভায় উপস্থিতি, পরিচালকদের স্বাক্ষর জালিয়াতি, তথ্যগোপন করে পরিচালকদের আত্মীয়স্বজনের নামে ঋণ প্রদান ইত্যাদি অভিযোগেরও প্রমাণ মিলেছে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের বিরুদ্ধে।

ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ, নির্বাহী কমিটি ও অডিট কমিটি সভার কার্যবিবরণী পর্যালোচনা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদনে এসব অনিয়ম উঠে এসেছে। ফলে চলতি মাসের ৬ ডিসেম্বর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেওয়ান মুজিবর রহমানকে অপসারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ছিল ১৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের কারণে বিপুল পরিমাণ অংকের অর্থ প্রভিশন রাখতে হয়েছে। ফলে নিট মুনাফায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

২০১৬ সালের ডিসেম্বর প্রান্তিকে নিট হয়েছিল ৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা। যা চলতি বছরের জুন ১২ কোটিতে নেমে এসেছে।

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক২০১৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কার্যক্রম শুরু করে ব্যাংকটি। পণ্যের কোনো নতুনত্ব নেই আর্থিক এ প্রতিষ্ঠানের। মানছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মনীতি। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটি পাঁচ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ৫১ কোটি টাকা। আদায় অযোগ্য ঋণের পরিমাণ ৩০ কোটি টাকা। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী কোনো ব্যাংক তার নিট মুনাফার ১০ শতাংশ অর্থ সিএসআরে (সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কাজ) ব্যয় করতে পারে। কিন্তু ২০১৬ সালে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ২০৫ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয় করেছে। যা নিয়ম বহির্ভূত।

এনআরবি ব্যাংক বৈদেশিক বাণিজ্য ও রেমিট্যান্স আহরণে ভূমিকা রাখার শর্তসাপেক্ষে লাইসেন্স পায় এনআরবি ব্যাংক। কিন্তু রেমিট্যান্স আহরণে ব্যাংকটির নেই তেমন কোনো ভূমিকা। গেল নভেম্বর মাসে ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র আট লাখ মার্কিন ডলার। খেলাপি ঋণও বাড়ছে ব্যাংকটির। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটি দুই হাজার ৪০ কোটি ৯৫ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ৫১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আদায় অযোগ্য ঋণের পরিমাণ প্রায় ২৯ কোটি টাকা।

ইউনিয়ন ব্যাংকইউনিয়ন ব্যাংকে পর্যাপ্ত জামানত ছাড়াই ঋণ দিয়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটি নয় হাজার ১৯৮ কোটি ১০ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ৬১ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অমান্য করে সিএসআরে অর্থ ব্যয় করেছে। ২০১৫ সালে ইউনিয়ন ব্যাংক এ খাতে ব্যয় করেছে ৯৯ শতাংশ। মেঘনা ব্যাংকবিলাসবহুল ও মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় করছে মেঘনা ব্যাংক। কার্যক্রম চালুর দেড় বছরের মধ্যে প্রধান কার্যালয় স্থানান্তর করা হয়েছে। এতে ভাড়া ও অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জার নামে অপ্রয়োজনীয় অর্থ ব্যয় হয়েছে। এসব ব্যয় নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সতর্ক করেছে ব্যাংকটিকে।

এছাড়া ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ গত কয়েক মাস ধরে হুহু করে বাড়ছে। চলতি বছরের জুন প্রান্তিকে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ছিল ৫৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। তিন মাসের ব্যবধানে ঋণ খেলাপি বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৫২ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে আদায় অযোগ্য ঋণের পরিমাণ ৫০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের কারণে বিপুল পরিমাণ অংকের অর্থ প্রভিশন রাখতে হয়েছে। এদিকে ব্যাংক পরিচালনায় পর্ষদ সদস্যদের হস্তক্ষেপের কারণে বাড়ছে খেলাপি ঋণ। ফলে পর্ষদের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে পদত্যাগ করেছেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ নূরুল আমিন। তবে পদত্যাগপত্রে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণের কথা উল্লেখ রয়েছে।

মিডল্যান্ড ব্যাংক রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন পাওয়া মিডল্যান্ড ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ লাগামহীনভাবে বাড়ছে। শুধু তাই নয়, এখন পর্যন্ত ব্যাংকটির যে পরিমাণ ঋণ খেলাপি হয়েছে এর ৮০ শতাংশই আদায় অযোগ্য। ফলে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ব্যাংকটি।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছরের জুন মাস শেষে মিডল্যান্ড ব্যাংকের ঋণ খেলাপি ছিল ৩২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বর শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে ব্যাংকটির ঋণ খেলাপি বেড়েছে ১৩ কোটি টাকা।

এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অমান্য করে সিএসআরে অর্থ ব্যয় করেছে। ২০১৫ সালে ব্যাংকটি এ খাতে ব্যয় করেছে ৯২ শতাংশ।

মধুমতি ব্যাংককার্যক্রম শুরুর পর থেকে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে মধুমতি ব্যাংকের বিরুদ্ধে। বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণও। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকটি দুই হাজার ৪৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। এর মধ্যে খেলাপি হয়েছে ১৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এর আগে জুন প্রান্তিকে ব্যাংকটির খেলাপি ছিল মাত্র পাঁচ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। তিন মাসের ব্যবধানে ব্যাংকটির ঋণ খেলাপি বেড়েছে ২৬২ শতাংশ অর্থাৎ আট কোটি ৮৩ টাকা।

সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংককার্যক্রম শুরুর পর থেকে এ ব্যাংকও নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়ে। যথাযথ কাগজপত্র ছাড়া ঋণ অনুমোদন, ঋণ প্রদানে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বহিরাগতদের পরিচালক বানিয়ে পর্ষদ সভায় যোগদানসহ নানা অপকর্মেরও অভিযোগ রয়েছে। ঋণ প্রদানে অনিয়মের অভিযোগে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে তলবও করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এদিকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ বেড়েছে। সেপ্টেম্বর শেষে সাউথ বাংলার খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। যা জুন প্রান্তিকে ছিল ১০ কোটি টাকা।

নতুন নয় ব্যাংকের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন পাওয়া নতুন ব্যাংকগুলোর জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো দিকনির্দেশনা নেই। এছাড়া নতুন ব্যাংক হিসেবে তাদের কোনো নতুনত্বও নেই। পুরনো ব্যাংকগুলোর মতোই আমানত সংগ্রহ করে ঋণ প্রদান করছে তারা।

‘ব্যাংকগুলো পরিচালন ও ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা রয়েছে’ অভিযোগ করে সাবেক এ গভর্নর বলেন, ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে তেমন যাচাই-বাছাই করছে না এসব ব্যাংক। ফলে নানা অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মে খেলাপি ঋণ বেড়ে যাচ্ছে। তাই নতুন ব্যাংকগুলোর বিভিন্ন কার্যক্রমের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও বিআইবিএম’র সুপারনিউমারারি অধ্যাপক মো. ইয়াছিন আলী বলেন, নতুন ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্যদের সদস্যরা ব্যাংকিং বোঝেন কম। আবার অনেক পরিচালক বেনামি ঋণ নিচ্ছেন। নন-রেসিডেন্সিয়াল বাংলাদেশ বা এনআরবি ব্যাংকগুলো বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আনার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাইসেন্স নিয়েছে। আসলে পুরোটাই ভোগাস। শুধু লাইসেন্স পেতে এ প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল।

এসআই/এমএআর/এমএস