জাতীয়

দে‌শের উন্নয়‌নে নারী-পুরুষ সক‌লে এক হ‌য়ে কাজ কর‌তে হ‌বে

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, দেশের উন্নয়নে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই সহযাত্রী হিসেবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত হবে।

Advertisement

বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন এবং বেগম রোকেয়া পদক-২০১৭ প্রদান উপলক্ষে শুক্রবার দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘বেগম রোকেয়া দিবস ২০১৭’ উদযাপন ও ‘বেগম রোকেয়া পদক’ প্রদান করা হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমি নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মৃতির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, বেগম রোকেয়া নারীমুক্তি, সমাজসংস্কার ও প্রগতিশীল আন্দোলনের পথিকৃৎ। কুসংস্কার ও ধর্মীয় গোঁড়ামির বিধিনিষেধের অন্ধকার যুগে শৃঙ্খলিত বাঙালি মুসলিম নারীদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বেগম রোকেয়া পর্দার অন্তরালে থেকেই নারীশিক্ষা বিস্তারে প্রয়াসী হন এবং মুসলমান মেয়েদের অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তির পথ সুগম করেন।

Advertisement

হামিদ বলেন, সামাজিক নানা বিধিনিষেধ, নিয়ম-নীতির বেড়াজাল অগ্রাহ্য করে তিনি (রোকেয়া) আবির্ভূত হন অবরোধবাসিনীদের মুক্তিদূত হিসেবে।

তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, বৈষম্যহীন সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে বেগম রোকেয়ার জীবনাদর্শ ও কর্ম আমাদের নারী সমাজের অগ্রযাত্রায় প্রেরণা যোগাবে।’

বাংলাদেশে জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী এ কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, নারী পুরুষের সমান অংশীদারিত্ব ব্যতীত টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার নারী সমাজকে দেশের সার্বিক উন্নয়নে সম্পৃক্ত করণের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ‘শেখ হাসিনার বরতা-নারী পুরুষ সমতা’ এই বার্তার বাস্তবায়ন প্রতিফলিত হচ্ছে দেশের সর্বত্র।

আবদুল হামিদ বলেন, নারীর উন্নয়নে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ ও বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ প্রণয়ন করা হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিচার বিভাগ, পুলিশ, প্রশাসন, সশস্ত্রবাহিনীসহ সকল পেশাতেই আজ নারীর অবাধ পদচারণা। নারীর ক্ষমতায়নে এসব সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ ‘এমডিজি অ্যাওয়ার্ড’, ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ’ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ সারাবিশ্বে রোল-মডেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

Advertisement

রাষ্ট্রপতি বলেন, বেগম রোকেয়ার জীবনাদর্শ, কর্মস্পৃহা যুগে যুগে নারীদের প্রেরণা যোগায়, তাদের সাহসী ও প্রতিজ্ঞ করে তোলে।। আজ যারা বেগম রোকেয়া পদক পাচ্ছেন, তাদের সকলকে তিনি আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। সাধুবাদ জানান বেগম রোকেয়ার আদর্শে উদ্বুদ্ধ সকল নারীকে।

এফএইচএস/বিএ