ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রথম ম্যাচের মত দ্বিতীয় ম্যাচেও হেরে প্রোটিয়াদের কাছে টি-টোয়েন্ট সিরিজ হারলো বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৩১ রানে পরাজিত করে ২-০ তে সিরিজ জিতে নিলো দক্ষিণ আফ্রিকা।শুরুতে ভালো খেললেও তামিমের বিদায়ের পর একের এক উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পরে বাংলাদেশ। শেষ দিকে রনি তালুকদার কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও তা শুধু পরাজয়ের ব্যাবধান কমাতে পেরেছে।মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১৭০ রানে ব্যাট করতে নেমে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। তবে ম্যাচের শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম উইকেট জুটিতে ৪৬ রানের জুটি গড়েন বাংলাদেশের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকার। তামিমের বিদায়ের পর বাংলাদেশ আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। দুই স্পিনার এডি লী এবং অ্যারন ফাঙ্গিসোর ঘূর্ণিতে উইকেট পতনের মিছিলে যোগ দিয়ে ফিরে যান একে একে টপ অর্ডারের সকল ব্যাটসম্যান।ষষ্ঠ ওভারে ওয়েন পারনেলের বলে শর্ট মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফিরে যান তামিম ইকবাল (১৩)। পরের ওভারেই অভিষিক্ত এডি লীর বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে সাজঘরে ফিরেন সৌম্য সরকার। আউট হবার আগে ২১ বলে ছয়টি চার এবং একটি ছক্কায় ৩৭ রান করেন তিনি। ১১তম ওভারে অ্যারন ফাঙ্গিসোর বলে লংঅফে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে আসেন অলরাউন্ডার সাকিব। এরপর দলীয় ৮২ রানে একে ফিরে যান সাব্বির (১), মুশফিক (১৯) এবং নাসির (০)।তাদের বিদায়ের পর ফাঙ্গিসোর বলে অইসিসের দুর্দান্ত ক্যাচে আউট হন লিটন (১০)। লিটনের বিদায়ের পর ফাঙ্গিসোর পর পর দুই বলে দুটি ছয় মেরে দর্শকদের উল্লাসে মাতান অধিনায়ক মাশরাফি (১৭)। তবে পরের ওভারেই অ্যাবটের বলে বোল্ড হয়ে যান টাইগার অধিনায়ক। এরপর রনি তালুকদার (২১) এবং মুস্তাফিজুর রহমানকেও বোল্ড করেন অ্যাবট। দক্ষিণ আফ্রিকার এডি লী, ফাঙ্গিসো এবং অ্যাবট তিনটি করে উইকেট নেন।এর আগে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স এবং কুইন্টন ডি ককের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে লড়াকু সংগ্রহ পায় সফরকারীরা। মঙ্গলবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে টাইগারদের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। খেলার শুরু থেকে মারমুখী মেজাজে খেলতে থাকেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স এবং কুইন্টন ডি কক। প্রথম উইকেট জুটিতে এই দুই ব্যাটসম্যান ৯৫ রান করেন। শেষ দিকে ডেভিড মিলারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দেড়শত রান পার করে সফরকারীরা।বাংলাদেশ দলের পক্ষে প্রথম সাফল্য এনে দেন আরাফাত সানি। কককে মিডঅনে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচে পরিনত করে ভয়ংকর হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙ্গেন তিনি। তবে আউট হবার আগে নিজের কাজটি করে যান এই প্রোটিয়া ওপেনার। ৩১ বলে চারটি চারে এবং দুটি ছক্কায় ৪৪ রান করেন এই ব্যাটসম্যান।এরপর বাংলাদেশ দলের পক্ষে জোড়া আঘাত হানেন নাসির হোসেন। পরপর দুই বলে দুটি উইকেট নিয়ে হ্যাট্রিকের সম্ভবনা জাগিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। জেপি ডুমিনি (৬) তার বল সুইপ করতে গেলে কানায় লেগে শুন্যে উঠে যায়। সে বলে তালুবন্দি করতে কোনো সমস্যায় হয়নি সাকিব আল হাসানের।নাসিরের পরের বল ঠিক ভাবে খেলতে পারেননি এবি ডি ভিলিয়ার্স। কানায় লেগে কিপার মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। ৩৪ বলে ছয়টি চার মেরে ৪০ রান করেন এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান।১৮তম ওভারে বাংলাদেশের নতুন পোস্টার বয় মুস্তাফিজুর রহমান ফেরান আগের ম্যাচে অর্ধশত করা অধিনায়ক ডু প্লেসিসকে (১৬)। ব্যাটে লেগে শুন্যে উঠে গেলে সেই বল সহজেই তালুবন্দি করেন উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিম।শেষদিকে রিলে রুশোকে নিয়ে ইনিংসের বাকি কাজ করেন ডেভিড মিলার। মিলার দুইটি চার এবং একটি ছক্কায় করেন ৩০ রান। রুশো করেন ১৬ রান।বাংলাদেশের পক্ষে নাসির ২৬ রানে দুইটি উইকেট পান। এছাড়া সানি এবং মুস্তাফিজুর একটি করে উইকেট নেন। আরটি/এমআর/আরআই
Advertisement