ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না তা জানার জন্য দ্বিতীয়বারের মতো শিশুকন্যাকে পরীক্ষা করা হয়েছে। এসএসকেএম হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা নানাভাবে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জি ডি বিড়লা স্কুলের শিশুটি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে কি না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি।
Advertisement
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দ্বিতীয় বারের মতো শিশুটির শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিকেলে একটি রিপোর্ট দেন চিকিৎসকরা। তবে এ নিয়ে কেউ মুখ খুলতে চাননি।
তবে পরীক্ষার ভিত্তিতে পাঁচটি দিক উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। তাতে উল্লেখ রয়েছে, শিশুটি উদ্বেগের শিকার, তবে বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল। কোনো সক্রিয় রক্ত ক্ষরণের আলামত মেলেনি।
শিশুটির যৌনাঙ্গের বাইরেও কোনো ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়নি। শুধু তার পেছন দিকে সামান্য আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে। যোনিদ্বারের পর্দাও ফাটেনি। এমনকি শরীরের অন্য কোনো অংশেও কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।
Advertisement
এই অবস্থায় চিকিৎসকরা একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নেন, সামান্য আঁচড় ছাড়া আর কিছু দেখা যায়নি। তা থেকে শিশুটির ওপর যৌন নির্যাতন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে পারেননি তারা। তবে ঘটনার ছয় দিন পর চিহ্ন পাওয়ার সম্ভাবনা কতটা, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকদের ওই দলেরই সদস্যরা।
গত শুক্রবার সকালে শিশুটির প্রথম দফার শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। সেই পরীক্ষাতেও যৌন নির্যাতনের কোনো প্রমাণ মেলেনি বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। তবে চিকিৎসকরা তখন তাদের রিপোর্টে জানিয়েছিলেন, শিশুটির শারীরিক কিছু অস্বস্তির জন্য তার সব রকম পরীক্ষা করা যায়নি; সে হালকা ব্যথার কথা জানিয়েছিল। সে কারণে বুধবার তার দ্বিতীয় দফার পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়।
ইতোমধ্যে পুলিশ শিশুটির বয়ানের ভিডিও রেকর্ড করেছে। সেই বয়ানে মেয়েটিকে মোবাইল স্ক্রিনে দুই অভিযুক্তের ছবি দেখিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে, তারা মেয়েটির সঙ্গে কোনো রকম ‘খারাপ কাজ’ করেছে কি না।
মেয়েটি একজনের ছবি দেখে বলেছে, ‘এই স্যার আমার বড় প্যান্ট আর ছোট প্যান্ট খুলেছে।’ অন্যজনের ছবি দেখালে সে জানায়, ‘এই স্যার হাত দিয়েছে।’ অভিযুক্ত দুই শিক্ষককে পুলিশ শুক্রবারই গ্রেফতার করেছে।
Advertisement
শিশুটির বাবা জানিয়েছেন, তার মেয়ের শরীর আবার খারাপ হয়ে গেছে। তার দাবি, রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বুধবার রাতে তারা মেয়েকে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছেন বলে জানা গেছে। আনন্দবাজার।
কেএ/আইআই