জাতীয়

বছরে ১১ লক্ষাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন ঢাকা মেডিকেলে

দেশের অন্যতম বৃহৎ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে বছরে ১১ লাখ রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করছেন। তাদের মধ্যে আট লক্ষাধিক আউটডোর ও তিন লক্ষাধিক জরুরি বিভাগে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। ইনডোরে ভর্তি হয়েছেন মোট এক লাখ ৩৮ হাজার ৬৫৬ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ১৩ হাজার ৫৯১ জন। সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রকাশিত লোকাল হেলথ বুলেটিন-২০১৫ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, নারী ও শিশুদের তুলনায় পুরুষ রোগীর সংখ্যাই বেশি। সড়ক দুর্ঘটনা, স্ট্রোক ও হৃদরোগের সমস্যাজনিত কারণেই হাসপাতালে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। দেশের অন্যতম সর্ববৃহৎ ২৪শ’ বেডের এই হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা প্রতিবছর বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদফতরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সার্ভিসেস (এমআইএস) অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে রাজধানীসহ সারাদেশের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, জেলা, সদর ও উপজেলা হাসপাতালের কর্মকর্তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ঢামেক হাসপাতালের আউটডোরে আট লাখ সাত হাজার ৫৮ জন, ইমার্জেন্সিতে তিন লাখ ২৩ হাজার ৮৭০ জন ও ইনডোরে মোট এক লাখ ৩৮ হাজার ৬৫৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। আউটডোরের মোট রোগীর মধ্যে চার লাখ ৭০ হাজার ৮৫২ জন পুরুষ, দুই লাখ ৬৮ হাজার ৩৩৪ জন নারী ও ৬৭ হাজার ৮৭২ জন পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু। ইমার্জেন্সিতে এক লাখ ৬২ হাজার ৫১৭ জন পুরুষ, এক লাখ ৩২ হাজার ২৩৬ জন নারী ও ২৯ হাজার ১১৭ জন শিশু।ইনডোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোট মৃত ১৩ হাজার ৫৯১ জন রোগীর মধ্যে সাত হাজার ৩৫৬ জন পুরুষ, ৫ হাজার ৭৭১ জন নারী ও ৩৯২ জন পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু রোগী। রাজধানীতে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংখ্যা তিনটি। ঢামেক ছাড়া অন্য দুটি হাসপাতাল হলো স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের আউটডোরে ৫ লাখ ৫৩ হাজার ৯৩৪ জন, ইর্মাজেন্সিতে এক লাখ ৩৫৬ জন এবং ৫৯ হাজার ১২৩ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। ভর্তিকৃত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন এক হাজার ৮১১ জন। একই সময়ে শহীদ সোহরওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৮০৫ জন, ইর্মাজেন্সিতে ৮০ হাজার ৮২০ ও ইনডোরে ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। ভর্তিকৃত রোগীদের মধ্যে মারা গেছে ৮৯৬ জন।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান লোকাল হেলথ বুলেটিন উপস্থাপনকালে বলেন, ঢামেক হাসপাতালে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ৩৭৮টি পদ শূন্য রয়েছে। রোগীর তুলনায় নার্সের সংখ্যা কম। বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট এখনো প্রকল্প আকারে চলছে। ঢামেক হাসপাতাল-২ চালু হলেও এখনো পর্যন্ত জনবল নিয়োগ হয়নি। বোন মেরু ট্রান্সপ্লান্টসহ নতুন নতুন বিভাগ খোলা হয়েছে। তিনি বলেন, ডাক্তার, নার্সসহ সকল শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ ২০১৩ সালে বাংলাদেশ ব্রান্ড ফোরাম ও ২০১২ সালে ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবসে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করে। বিএ/পিআর

Advertisement