খেলাধুলা

ব্যাটসম্যানদের ছাড়িয়ে বোলাররা

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) গ্রুপ পর্ব শেষ। এবার মাঠে গড়ানোর অপেক্ষা কোয়ালিফায়ার এবং ইলিমিনেটর রাউন্ডের। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নিশ্চিতভাবে এগিয়ে থাকবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবং ঢাকা ডায়নামাইটস। কারণ, শীর্ষে এবং দ্বিতীয়স্থানে থাকার কারণে, এই দুই দলের সামনে থাকবে ডাবল সুযোগ। কোয়ালিফায়ার-১ থেকে যে দল জিতবে, তারা তো চলে যাবে সরাসরি ফাইনালে। যে হেরে যাবে, তাদের বিদায় ঘটবে না। কোয়ালিফায়ার-২ খেলে ফাইনালে ওঠার সুযোগ থাকবে তাদের সামনে।

Advertisement

তার আগে দেখে নেয়া যাক গ্রুপ পর্বের পারফরম্যান্স। বিপিএল গ্রুপ পর্বের পারফরম্যারন্স বিচার-বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, এবার বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে ব্যাটসম্যানদের চেয়ে দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন বোলাররা। এবারের বিপিএলে পরিসংখ্যান টেবিল দেখলেই বোঝা যাবে বিষয়টা। উইকেট সেরা ৬জন বোলারই যে বাংলাদেশি!

ঢাকা ডায়নামাইটসের আইকন এবং অধিনায়ক সাকিব আল হাসান রয়েছেন উইকেট শিকারের তালিকায় সবার শীর্ষে। ১১ ম্যাচে সর্বোচ্চ ১৯ উইকেট দখল করে নিয়েছেন সাকিব। শুধু তাই নয়, এবারের আসরে সবচেয়ে সেরা বোলিং ফিগারটাও কিন্তু সাকিববের। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৩.৫ ওভার বল করে মাত্র ১৬ রান দিয়ে তিনি নিয়েছেন ৫ উইকেট। ৫ উইকেট ছাড়াও একবার ৪ উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। ১১ ম্যাচে মোট ৩৮.৫ ওভার বল করেছেন তিনি। ৬.৩৩ ইকনোমি রেটে রান দিয়েছেন ২৪৬টি। মেডেন নিয়েছিলেন ২টি। সর্বোচ্চ মেডেন সাকিব আল হাসানেরই।

এবারের আসরে ৫ উইকেট পেয়েছেন আরও তিনজন। এর মধ্যে একজনই বিদেশি। পাকিস্তানের হাসান আলি। ৩.৩ ওভার বল করে ২০ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। বাকি দু’জন হলেন বাংলাদেশের শফিউল ইসলাম এবং নাসির হোসেন। শফিউল দিয়েছিলেন ২৬ রান এবং নাসির দিয়েছিলেন ৩১ রান।

Advertisement

সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের তালিকায় দ্বিতীয়স্থানে রয়েছেন খুলনা টাইটান্সের বাংলাদেশি পেসার আবু জায়েদ রাহীর। ১১ ম্যাচ খেলে তিনি নিয়েছেন মোট ১৮ উইকেট। যদিও ইকনোমি রেট তার অনেক বেশি। ৯.০৫ করে। ৩৮ ওভার বল করে তিনি রান দিয়েছেন ৩৪৪টি। ১৫ উইকেট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। তার ইকনোমি রেট ৭.৪৩ করে।

ঢাকার আবু হায়দার রনি এবং চিটাগংয়ের তাসকিন আহমেদ দু’জনই নিয়েছেন ১৪ টি করে উইকেট। রনির ইকনোমি রেট ৭.৫৪ এবং তাসকিনের ইকনোমি রেট ৯.৩৪ করে। মাশরাফি রয়েছেন ৬ নম্বরে। তিনি উইকেট নিয়েছেন ১৩টি। বিদেশিদের মধ্যে শীর্ষে শহিদ আফ্রিদি। তিনি নিয়েছেন ১২ উইকেট।

ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সেরা পাঁচে বাংলাদেশের রয়েছেন কেবল ১জন। তিনি রংপুর রাইডার্সের ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিথুন। সেরা রানসংগ্রহকারীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন রংপুর রাইডার্সের রবি বোপারা। ১২ ম্যাচে তার সংগ্রহ ৩৬৫ রান। হাফ সেঞ্চুরি ২টি। ঢাকার এভিন লুইস ১০ ম্যাচ খেলে সংগ্রহ করেছেন ৩৩৪ রান। হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে তার ৩টি।

৩২১ রান নিয়ে চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক লুক রনকি রয়েছেন তিন নম্বরে। তার হাফ সেঞ্চুরি ২টি। ৩১৭ রান নিয়ে সিলেট সিক্সার্সের ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচারের রয়েছেন চার নম্বরে। পাঁচ নম্বরে থাকা মোহাম্মদ মিথুনের রান ২৯৯। তিনিও খেলেছেন ১২ ম্যাচ। হাফ সেঞ্চুরি ১টি।

Advertisement

সর্বোচ্চ ছক্কা মেরেছেন ঢাকার এভিন লুইস। ১০ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৩টি ছক্কা। বাউন্ডারি মেরেছেন ২৯টি। তবে সর্বোচ্চ বাউন্ডারি মারার তালিকায় শীর্ষে তামিম ইকবাল। তিনি ৮ ম্যাচ খেলে বাউন্ডারি মেরেছেন ৩৬টি। ৩৪টি বাউন্ডারি মেরেছেন সিলেটের আন্দ্রে ফ্লেচার।

উইকেটশিকারী সেরা পাঁচ

খেলোয়াড়

ম্যাচ

রান

উইকেট

সেরা

গড়

ইক. রেট

সাকিব আল হাসান

১১

২৪৬

১৯

৫/১৬

১২.৯৪

৬.৩৩

আবু জায়েদ রাহী

১১

৩৪৪

১৮

৪/৩৫

১৯.১১

৯.০৫

মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন

১১

২৭৫

১৫

৩/২২

১৮.৩৩

৭.৪৩

আবু হায়দার রনি

১১

২৫৯

১৪

৩/১১

১৮.৫০

৭.৫৪

তাসকিন আহমেদ

১১

৩৩৫

১৪

৩/৩১

২৩.৯২

৯.৩৪

রান সংগ্রহকারী সেরা পাঁচ

খেলোয়াড়

ম্যাচ

রান

সর্বোচ্চ

গড়

স্ট্রা. রেট

৫০

রবি বোপারা

১২

৩৬৫

৫৯

৪৫.৬২

১১৫.৮৭

এভিন লুইস

১০

৩৩৪

৭৫

৩৭.১১

১৬০.৫৭

লুক রনকি

১১

৩২১

৭৮

২৯.১৮

১৬৯.৮৪

আন্দ্রে ফ্লেচার

১০

৩১৭

৭১

৩৫.২২

১২৪.৮০

মোহাম্মদ মিথুন

১২

২৯৯

৫০*

২৭.১৮

১২২.৫৪

আইএইচএস/জেআইএম