আবেগ ছাড়া মানুষ হয় না। কারো আবেগ অনেক বেশি, কারো বা কম। কেউ কথায় কথায় আবেগী হয়ে পড়েন কেউবা আবেগকে পাশ কাটিয়ে চলতে পারেন। সুস্থ থাকার জন্য পরিমিত খাওয়া, এক্সারসাইজ, ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে ঠিকই। কিন্তু তার পাশাপাশি বেশি দিন সুস্থ থাকতে ও হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে মানসিক সুস্থতা ও আবেগের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শুধু তিনটি ইমোশন কন্ট্রোল করলেই সুস্থ থাকতে পারে হার্ট।
Advertisement
রাগমানুষ মাত্রই রাগ রয়েছে। অনেকে রাগ সহজেই প্রকাশ করেন। অনেকে আবার চেপে রাখেন। কিন্তু গবেষকরা জানাচ্ছেন অতিরিক্ত রাগ বা রাগ পুষে রাখার কারণে হার্ট অ্যাটাক পর্যন্ত হতে পারে। রাগের মতো নেগেটিভ ইমোশন আমাদের অস্থির করে তোলেও রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্ত জমাট বাঁধার সম্ভাবনা বাড়ে। তাই কিছু এক্সারসাইজের পাশাপাশি রাগ নিয়ন্ত্রণ করলে রক্তে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে, রক্তচাপ কমে ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে।
অবসাদজীবনে নানা চড়াা-উৎড়াই থাকবেই। সব সময় নিজেকে সামলে চলা সম্ভব নাও হতে পারে। ভর করতে পারে অবসাদ। হার্টের বিভিন্ন সমস্যার সঙ্গে অবসাদ, উৎকণ্ঠা, স্ট্রেসের সম্পর্ক খুব গভীর। অনেক দিন ধরে অবসাদে ভুগলে অবশ্যই হার্টের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান বা হার্টের সমস্যা হলে অবসাদে ভুগছেন কিনা তা পরীক্ষা করিয়ে নিন।
মানসিক ক্লান্তিকাজ করতে গিয়ে হয়তো শারীরিক ক্লান্তি অনুভব করেন। কিন্তু মনের খবর রেখেছেন কি? ক্লান্তি শুধু শারীরিক হয় না। কাজের চাপ, ব্যস্ততা, সব দিক সামলাতে সামলাতে আমরা মানসিক ভাবেও ক্লান্ত হয়ে পড়ি। দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক চাপ আমাদের হার্ট ও মস্তিষ্কের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে।
Advertisement
এইচএন/জেআইএম