সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও ভারী বর্ষণে লালমনিরহাটে তিস্তা, সানিয়াজান, ধরলা, বুড়ি তিস্তা ও সতী নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সোমবার সকাল থেকে এসব নদীগওলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের সর্ব বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ’র অধিকাংশ গেট খুলে দেয়া হয়েছে। এতে আঙ্গোরপোতা-দহগ্রাম ছিটমহল সহ গোটা জেলার ১৩ গ্রামের ২০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ড তিস্তা দোয়ানী-ডালিয়া শাখা’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোন্নাফ জানান, ভারত থেকে প্রচন্ড গতিতে পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। এতে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় পানি বিপদ সীমার ১১ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ব্যারাজের উজান ও ভাটিতে অসংখ্য গ্রামের মানুষজন পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। ব্যারাজের সব গেট খুলে দিয়ে পানির গতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চলছে। র্যারাজ রক্ষার্থে বাইপাসের আশ পাশে বসত বাড়ি’র লোকজনদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হচ্ছে। পানির গতি বেড়ে গেলে বাইপাস কেটে দেয়া হবে। ওই বাইপাস কেটে দেয়া হলে গোটা লালমনিরহাট জেলা পানি বন্দি হয়ে পড়বে। তিনি আরও জানান, ভারতে বন্যা দেখা দিয়েছে। পাশা-পাশি কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে যে কোন মুহুত্বে তিস্তা’র পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এ দিকে তিস্তার পানি সানিয়াজান, ধরলা, বুড়ি তিস্তা ও সতী নদীতে প্রবেশ করায় ওই সব নদীর তীরবর্তী এলাকা গুলোর হাজার হাজার বসত বাড়িও পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তিনি বন্যা পরিস্থিতি’র খোজঁ খবর নিচ্ছেন। ত্রাণের জন্য উচ্চ পর্য়ায়ে অবগত করা হয়েছে।
Advertisement