বাংলাদেশ ক্রিকেটের এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হবার কথা ছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। কিন্তু সবকিছুকে পেছনে ফেলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে 'প্রধান কোচ' কে হবেন! ইতোমধ্যেই সবাই জেনে গেছেন বিসিবি তিনজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা করে ফেলেছেন। তারা হলেন রিচার্ড পাইবাস, ফিল সিমন্স ও জিওফ মার্শ।
Advertisement
তবে আলোচনায় ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজনও। বিদেশি ভালো কোচ না পাওয়া গেলে তিনিই হবে কোচ। এখনও রয়েছে সেই সম্ভবনা। কারণ কোচ নির্বাচনের বিষয়টি বেশ সময় সাপেক্ষও। তবে রিচার্ড বাইপাস খুব কড়া কোচ। এই মুহূর্তে তার মত কোচের দরকার কি না, জানতে চাইলে খুব কূটনৈতিকভাবে এর উত্তর দেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
সুকৌশলে ঢাকা ডাইনামাইটসের এই কোচ বলেন, ‘আসলে আমরা তো কোচ আনতে চাই। কড়া শাসন করবে এই সব কিছু না। তার পরেও ডিসিপ্লিন থাকাটা প্রত্যেকটা দলের জন্য খুবই জরুরি। আমি মনে করি যে লাস্ট তিন বছরও আমরা খুবই ডিসিপ্লিন ছিলাম। কিন্তু এবার আমাদের ছেলেদের পারফম্যান্স ভালো হয়নি তাই ডিসিপ্লিনির ব্যাপারটা উঠে এসেছে। তো রিচার্ড পাইবাস যে ওই জন্যই আসছেন ব্যাপারটা কিন্তু তা নয়।’
পাইবাস এর আগেও বাংলাদেশে কাজ করে গিয়েছেন। ওই সময় তাকে বাদ দিয়ে আবার কেন এখন আনা হচ্ছে?- জানতে চাওয়া হলে তিনি আরও বলেন, ‘আসলে আমি ব্যক্তিগত ভাবে পাইবাসকে চিনি না। ওনি যখন ছিলেন আমি তখন ছিলাম না। তাই কোন কথা বলা ঠিক হবে না। কেন চলে গিয়েছিলেন, কি উন্নতি করেছিলেন বা কেন তাকেই সেই সময়ে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তখন শুনে ছিলাম বাংলাদেশের খেলার উন্নয়নে তাকে আনার জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছিল কিন্তু পরে তা কতটা কার্যকর হয়েছে জানি না। তবে তিনি কেন গিয়েছিলেন সেটাও জানি না।’
Advertisement
শেষে হেসে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘বাংলাদেশের এখনকার উন্নতির জন্য আগের কোচের অবদান রয়েছে। আর আমি সুযোগ পেলে দল নিয়ে কাজ করা আমার জন্য সুবিধা হবে। কারণ আমি ওর (হাথুরুর) অনেক ট্যাকনিকই জানি।’
এমএএন/এমআর/আরআইপি