পয়েন্ট তালিকার এক নাম্বার দলের সঙ্গে লড়াই। খুলনা টাইটান্সের জন্য চ্যালেঞ্জটা কঠিন ছিল। কঠিন চ্যালেঞ্জটা দারুণভাবে জিতে নিলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১৪ রানে হারিয়ে সেরা দুইয়ে ঢুকে গেলো তারা।
Advertisement
দিনটা খুলনারই ছিল। শুরুতে টস ভাগ্যও সহায় হয় তাদের। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ব্যাটিং বেছে নিতে ভুল করেননি। বোলারদের জন্য পিচে তেমন কিছু ছিল না। খুলনা টাইটান্সকে ভরসা দিলেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরাই। শুরুতে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং শেষের দিকে আরিফুল হকের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটে ১৭৪ রানের বড় পুঁজি পেয়ে যায় খুলনা।
২১ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৩৭ রান করেন শান্ত। ২১ বলে ৪ চার আর ১ ছক্কায় ৩৫ করেন আরিফুল। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ ২৩ বলে ২৩ রান করেন। বিদেশিদের মধ্যে মাইকেল ক্লিঙ্গার ২৮ বলে ২৯ আর শেষদিকে কার্লোস ব্রেথওয়েট ১২ বলে ২২ রান করে দলের পুঁজিতে অবদান রাখেন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পক্ষে ৩টি উইকেট নেন আল আমিন হোসেন। একটি করে উইকেট পান শোয়েব মালিক আর সলোমন মিরে।
Advertisement
১৭৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ঘুর্ণিতে সলোমন মিরে ফিরে যান রানের খাতা না খুলেই। ইমরুল কায়েস আর তামিম ইকবাল মিলে অবশ্য শুরুর ধাক্কা সামলে উঠেছিলেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা তুলেন ৬৩ রান।
১৯ বলে ২০ রান করে ইমরুল ফিরলে ভাঙে এই জুটিটি। এরপর তামিমও ৩৩ বলে ৩৬ করে ব্রেথওয়েটের শিকার হলে আবারও বিপদে পড়ে যায় কুমিল্লা। ১৬টি বল খেলে ১১ রান করে জস বাটলার। কুমিল্লার চাপ তাতে আরও বেড়ে যায়।
এরপর শোয়েব মালিক হাত খুলে খেলেছেন। মারলন স্যামুয়েলসও চেষ্টা করেছেন। তবে বলের ঘাটতিটা আর পূরণ করে নিতে পারেননি তারা। ২৩ বলে ৩৬ রান করে মালিক। এই ইনিংসে একটি চারের পাশে ৩টি ছক্কা হাঁকান পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। শেষপর্যন্ত ১৬ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন স্যামুয়েলস।
খুলনা টাইটান্সের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহি আর বেনি হাওয়েল। একটি করে উইকেট মাহমুদউল্লাহ, কার্লোস ব্রেথওয়েট আর মোহাম্মদ ইরফানের।
Advertisement
এমএমআর/আরআইপি