জাতীয়

৯ বছরে ৯ লাখ বাংলাদেশির হজ পালন

বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের গত ৯ বছরের শাসনামলে প্রায় ৯ লাখ বাংলাদেশি হজযাত্রী পবিত্র হজ পালন করেছেন। শুরুর বছর ২০০৯ সালে হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৫৮ হাজার ৬২৮ জন, যেখানে সর্বশেষ ২০১৭ সালে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনে। এ হিসেবে গত ৯ বছরে হজযাত্রীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে।

Advertisement

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর নারী হজযাত্রীর সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ৩৫ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া চলতি বছর হজে ৫ হাজার ৩শ’ ৫৬ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। ২৯টি ব্যাংকের ৩ হাজার ২৭১টি শাখায় এ পরিমাণ আর্থিক লেনদেন হয়।

সম্প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয় আয়োজিত হজ ব্যবস্থাপনা শীর্ষক কর্মশালা-২০১৭ এক অনুষ্ঠানে যুগ্মসচিব (হজ) মো. হাফিজ উদ্দিন অভিজ্ঞতা ও মূল্যায়ন প্রতিবেদনে ৯ বছরের তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত যথাক্রমে ৫৮ হাজার ৬২৮ জন, ৯১ হাজার ৩৮৪ জন, ১ লাখ ৭ হাজার ৩৭২ জন, ১ লাখ ১২ হাজার ৬৮০ জন, ৮৯ হাজার ১৯০ জন, ৯৮ হাজার ৬৮৩ জন, ১ লাখ ৬ হাজার ২৩৮ জন, ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন এবং ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশি পবিত্র হজ পালন করেছেন।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, পবিত্র হজ পালনে মানুষের আগ্রহ দিনে দিনে বাড়ছে। সৌদি সরকারের নির্দেশনায় ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে ই-হজ পদ্ধতি চালু হওয়ায় হজ পালন ইচ্ছুক মুসলিমদের আগাম প্রাক রেজিস্ট্রেশন করতে হচ্ছে।

Advertisement

ধর্মসচিব মো. আনিছুর রহমান জানান, আগামী বছর (২০১৮ সাল) হজযাত্রীর কোটা বাড়বে না। চলতি বছরের মতো ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা থাকলেও ইতোমধ্যেই ১ লাখ ৮৩ হাজার ৭৮৭ জন প্রাক নিবন্ধন করেছেন। এ হিসেবে শুধু ২০১৮ সালই নয়, ২০১৯ সালের ৬৩ হাজার হজ গমনেচ্ছুর প্রাক নিবন্ধনও সম্পন্ন হয়েছে।

ধর্মসচিব আরও বলেন, সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার জন্য ইতোমধ্যে হজ ক্যালেন্ডার প্রকাশিত হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ক্যালেন্ডারে দেয়া দিনক্ষণ অনুযায়ী সব কাজ করা হবে। গত বছরের তুলনায় আগামী বছর হজ ব্যবস্থাপনা আরও সুষ্ঠু হবে বলেও দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

এমইউ/আরএস/জেআইএম

Advertisement