খেলাধুলা

১৩৮ রানেই অলআউট অস্ট্রেলিয়া

মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ- দুইপিঠই একই টেস্টে দেখা হয়ে গেলো অস্ট্রেলিয়ার। প্রথম ইনিংসে যে দল দাপটের সঙ্গে খেলে ৪৪২ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল। ইংল্যান্ডকে অলআউট করে দিয়েছিল ২২৭ রানে। তারাই কি না দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে পুরোপুরি বিপরিত চেহারায়। ইংলিশ পেসারদের তোপের মুখে অলআউট হয়ে গিয়েছে মাত্র ১৩৮ রানে। এর ফলে ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়িয়ে গেলো ৩৫৪ রান।

Advertisement

অ্যাডিলেড টেস্টে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ফলোঅন করানোর সুযোগ পেয়েও করায়নি অস্ট্রেলিয়া। ২১৫ রানে এগিয়ে থাকার পরও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে স্টিভেন স্মিথের দল; কিন্তু ব্যাট করতে নামার পরই অসি ব্যাটসম্যানরা টের পেলো, কতটা বিষ মাখানো ইংল্যান্ডের পেস ব্যাটারি। জেমস অ্যান্ডারসনের তোপে আগেরদিন শেষ বিকেলেই দিশেহারা হয়ে পড়েছিল তারা। আজ চতুর্থ দিন ব্যাট করতে নেমেও তাদের সেই দিশেহারা ভাব কাটেনি। অ্যান্ডারসন-ওকস বোলিং তোপের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে অসিদের ঠেলে দিলেন ব্যাকফুটে।

স্টিভেন স্মিথ হয়তো ভেবেছিলেন, ২১৫ রানে তো এমনিতেই এগিয়ে রয়েছি। সঙ্গে যদি আর ২০০ কিংবা তার আশ-পাশে রান যোগ করে দেয়া যায়, তাহলে অ্যাডিলেড টেস্টটা অনায়াসেই জিতে নিতে পারবে তারা। কিন্তু অ্যান্ডারসন আর ওকসের আগুনে বোলিংয়ের সামনে তৃতীয় দিন শেষ বিকেলেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা। ৫০ রানেই পড়ে এই ৪ উইকেট। ৫২ রানে দিন শেষ করে মাঠ ছাড়েন পিটার হ্যান্ডসকম্ব (৩) এবং নাথান লিওন (৩)।

চতুর্থ দিন ব্যাট করতে নেমে আর মাত্র ৮৬ রান যোগ করতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়ার বাকি ৬জন ব্যাটসম্যান। দিনের শুরুতেই জেমস অ্যান্ডারসনের অগ্নিমাখা বোলিংয়ের মুখে পড়েন হ্যান্ডসকম্ব এবং নাথান লিওন। ১২ রান করে হ্যান্ডসকম্ব এবং ১৪ রান করে ফিরে যান লিওন। এরপর টিম পাইনকে ১১ রানে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন ক্রিস ওকস।

Advertisement

এরপর শন মার্শ, ১৯, মিচেল স্টার্ক ২০ এবং প্যাট কামিন্স ১১ রান করে অস্ট্রেরিয়ার রানকে ১৩৮-এ নিয়ে গিয়ে ঠেকান। অ্যান্ডারসন ৪৩ রানে ৫টি, ক্রিস ওকস ৩৬ রান দিয়ে নেন ৪টি উইকেট। বাকি উইকেটটি নেন ক্রেইগ ওভারটন।

আইএইচএস/জেআইএম