ঈদ-উল-ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে জমে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের ঈদ বাজার। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অর্ধ-শতাধিক মার্কেটের সবগুলোই ক্রেতায় পরিপূর্ণ থাকে। বিক্রেতাদের যেনো দম ফেলানোর ফুসরত নেই।গত বছরের মতো দেশে হরতাল-অবরোধ কিংবা রাজনৈতিক বিরোধ না থাকার কারণে এবারে ব্যবসা ভালো হবে বলে মনে করেছেন ব্যবসায়ীরা। মার্কেটে আসা ক্রেতাদের নিরাপত্তার স্বার্থে ঠাকুরগাঁও বাজারে সার্বক্ষণিক থানা পুলিশের সিভিল টিম, নারী পুলিশ টিম ও ইউনিফর্ম টিম টহল দিচ্ছে।ঠাকুরগাঁও বাজার ঘুরে দেখা যায়, এবারের ঈদ বাজার ইতোমধ্যে পুরোপুরি জমে উঠেছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় শুরু হয়েছে। এর আগে অতিবৃষ্টিতে বিক্রি কিছুটা ভাটা পড়েছিলো। এখন সকাল ১০টা থেকেই বিক্রিতে ধুম লেগে যায় বাজারের ছোট বড় সকল দোকানে।ঠাকুরগাঁও বাজারে দুই ধাপে মার্কেটগুলোতে বিক্রি হয়। দিনের প্রায় পুরো সময়টা দূরের ক্রেতারা বাজার দখল করে রাখে। স্থানীয়রা কিংবা দূরের যারা বাজারের আশপাশে ভাড়া থাকেন তারা মার্কেটে আসেন সন্ধ্যার পরে। যার কারণে ঠাকুরগাঁও বাজারে দিনে ও রাতে সমানতালে বিক্রি হয় ঈদ পণ্য। এ ভিড় সাধারণত কাপড় ও গার্মেন্ট দোকানগুলোতে বেশি পড়ে।ব্যবসায়ীরা জানায়, বর্তমান সময়টাতে প্রবাসীদের পরিবার এখন ঈদ মার্কেটে ভিড় করছে। গার্মেন্টস আইটেম ও কাটা কাপড়ের দোকানগুলোতে পুরোপুরি ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আবার জুতোর দোকানগুলোতে ঈদের ক্রেতায় পরিপূর্ণ হয়ে আছে।টপ ওয়ান দোকানের প্রোপাইটার লুৎফর রহমান মিঠু জানান, আমাদের এখানে দেশী-বিদেশি হরেক রকম পোশাকের বিপুল সমারোহ রয়েছে। গত ক`দিনে বিক্রি অনেক বেড়েছে। ঈদের বাজার জমে উঠেনি। তবে বিক্রি ভালো হচ্ছে। ব্যবসায় কোনো ধরনের ঝামেলা নেই। ক্রেতারা আসছেন, দরদাম করছেন আর কিনছেন।ঠাকুরগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি হাসান জানান, বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তার কথা মাখায় রেখে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম পুরো বাজারে দিন-রাত দায়িত্ব পালন করছে। এবারে ঠাকুরগাঁও বাজারে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করছে। এর মধ্যে নারী পুলিশের টিম, সিভিল পুলিশের টিম এবং ইউনিফর্ম টিম সমানতালে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।রবিউল এহসান রিপন/এআরএ/আরআই
Advertisement