নাগপুর টেস্টের মত এতটা ভেঙে পড়ছে না শ্রীলঙ্কা। দিল্লি টেস্টে অন্তত লড়াইয়ের আভাস মিলেছিল অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমাল এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের ব্যাটে। দু’জনই করেছেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। তবুও তৃতীয় দিন শেষ বিকেলে এসে ক্ষণিকের এক ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে লঙ্কানদের ইনিংস। যেখানে নিশ্চিত লিড নেয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছিল চান্দিমালরা, সেখানে এখন কোনমতে ফলোঅন বাঁচিয়েই ক্ষান্ত থাকতে হলো তাদের।
Advertisement
প্রথম ইনিংসে বিরাট কোহলির ডাবল সেঞ্চুরি আর মুরালি বিজয়ের বিশাল সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ভারত ৭ উইকেট হারিয়ে ৫৩৬ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। টানা দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করেন কোহলি। আউট হলেন ২৪৩ রান করে। মুরালি বিজয়ের ব্যাট থেকে আসে ১৫৫ রান। রোহিত শর্মা খেলেন ৬৫ রানের ইনিংস।
বিশাল রানের নিচে চাপা পড়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ের মুখে লঙ্কানরা। রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন দিমুথ করুনারত্নে। দলীয় ১৪ রানে ব্যক্তিগত ১ রানে ফিরে গেলেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা। তখনই শঙ্কা দেখা দিয়েছিল, এবার বুঝি আরও একটি ইনিংস পরাজয়ের মুখে দাঁড়িয়ে লঙ্কানরা!
এরপরর বিপর্যয় সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেন কুশল পেরেরা এবং অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ জুটি। ৬১ রানের জুটি গড়েন তারা দু’জন। দলীয় ৭৫ রানে ফিরে যান কুশল পেরেরাও। ৪২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এরপরই জুটি বাধেন ম্যাথিউজ আর দিনেশ চান্দিমাল।
Advertisement
এ দু’জনের ব্যাট থেকে আসে ১৮১ রানের ঝকঝকে ইনিংস। ৩ উইকেটে ৭৫ থেকে শ্রীলঙ্কার রান চলে যায় ২৫৬ রান পর্যন্ত। ১৮১ রানের জুটির মধ্যে সেঞ্চুরি তুলে নেন ম্যাথিউজ। ১১১ রান করে অশ্বিনের বলে উইকেটের পেছনে ঋদ্ধিমান সাহার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান ম্যাথিউজ।
এরপর সামারাভিক্রমাকে নিয়ে কিছুক্ষণ লড়াই চালিয়ে যান চান্দিমাল। এ দু’জনের ব্যাট থেকে আসে ৬১ রানের জুটি। ৩১৭ রানের মাধায় আউট হয়ে যান সামারাভিক্রমা। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। এরপরই লঙ্কানদের ওপর চেপে বসেন রবিচন্দ্র অশ্বিন, মোহাম্মদ শামি এবং রবীন্দ্র জাদেজা।
শেষ বিকেলে এই তিন বোলারের সাঁড়াসি আক্রমণের মুখে দ্রুত উইকেট হারায় লঙ্কানরা। দিনেশ চান্দিমাল একা হয়ে গেলেন। অন্যপাশে চলল আসা-যাওয়ার মিছিল। শেষ পর্যন্ত তৃতীয় দিন শেষে শ্রীলঙ্কার রান দাঁড়াল ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৫৬। এখনও প্রথম ইনিংসে ভারতের চেয়ে পিছিয়ে ১৮০ রান। উইকেটে হাতে আছে ১টি। দিনেশ চান্দিমাল ব্যাট করছেন ১৪৭ রান নিয়ে। তার সঙ্গী লক্ষ্মণ সান্দাকান শূন্য রানে।
রবিচন্দ্রন অশ্বিন উইকেট নেন ৩টি। এছাড়া মোহাম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা এবং রবীন্দ্র জাদেজা নেন ২টি করে উইকেট।
Advertisement
আইএইচএস/এমএস