অর্থনীতি

ডিএসই’র ৫৬ ভাগ প্রতিষ্ঠানের দরপতন

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে (সোমবার) দেশের উভয় শেয়ারবাজারে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দরপতন হয়েছে। এরমধ্যে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদনে হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৫৬ শতাংশের দরপতন হয়েছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) দরপতন হয়েছে ৫৩ শতাংশের।

Advertisement

এদিন অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানের দরপতনের কারণে উভয় বাজারে প্রধান মূল্যসূচক কমেছে। ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৩ পয়েন্ট এবং সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স কমেছে ৫৫ পয়েন্ট। এ নিয়ে টানা দুই কার্যদিবস উভয় বাজারের প্রধান সূচক কমেছে।

তবে মূল্যসূচক কমলেও দুই বাজারেই লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। ডিএসইতে আজ গতকালের (রোববার) তুলনায় ১১৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার বেশি লেনদেন হয়েছে। আর সিএসইতে লেনদেন বেশি হয়েছে ৯ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শেয়ারবাজারের এ দরপতন স্বাভাবিক মূল্য সংশোধন। বেশ কিছুদিন ধরে শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। এতে অনেক কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়ে গেছে। এখন সেই সব প্রতিষ্ঠানের মূল্য সংশোধন হচ্ছে। এতে বিনয়োগকরীদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

Advertisement

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, শেয়ারবাজার কখনো ঊর্ধ্বমুখী থাকবে, আবার কখনো নিম্নমুখী হবে। একটানা উত্থান বা পতন ভালো না। ছোট ছোট উত্থান-পতনের মাধ্যমেই বাজার এগিয়ে যাবে। এখন বাজারে যে দরতপন দেখা দিয়েছে, এটা স্বাভাবিক মূল্য সংশোধন। এটি শেয়ারবাজারের চলমান প্রক্রিয়া।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সোমবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৩ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৬২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দু’টি মূল্যসূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২৬৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। তবে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৮৭ পয়েন্টে।

বাজারটিতে লেনদেন হওয়া ১১০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৪টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টির। বাজারটিতে আজ লেনদেন হয়েছে ৬৮৭ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৭৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসাবে আজ লেনদেন বেড়েছে ১১৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

টাকার অংকে ডিএসইতে সোমবার সর্বাধিক লেনদেন হয়েছে গ্রামীণ ফোনের শেয়ার। প্রতিষ্ঠানটির মোট ৩৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্কয়ার ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকার। ২২ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। লেনদেনে এরপর রয়েছে- গোল্ডেন হার্ভেস্ট, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, বিডি থাই, এবি ব্যাংক, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, সিটি ব্যাংক এবং লংকাবাংলা ফাইন্যান্স।

Advertisement

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে আজ সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ৫৫ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৭৩২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৪৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৮৩টির দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে কমেছে ১২৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির দাম। এমএএস/এমএমজেড/পিআর