অনিয়ম, দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনায় সংকটে পড়েছে দেশের আর্থিক খাত। ক্ষমতার জোরে দখল হচ্ছে একের পর এক ব্যাংক। নানা কৌশলে ঋণের নামে লুটে নেয়া হচ্ছে আমানতকারীর অর্থ। ফলে ব্যাংকিং খাতে বাড়ছে খেলাপি ঋণ। পাচার হচ্ছে শত শত কোটি টাকা। দিন দিন মন্দ ঋণের পরিমাণও বাড়ছে।
Advertisement
তবে আর্থিক খাতে এখনও সংকটের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি- বলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অর্থনীতিবিদ, বিশ্লেষক ও ব্যাংক-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের ব্যাংকিং খাতে যা চলছে তা ‘অশনিসংকেত’ বলা যেতে পারে। সরকারি ব্যাংকে সংঘটিত হল-মার্ক, বিসমিল্লাহ কেলেঙ্কারির পর এখন বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে অর্থ জালিয়াতি, দুর্নীতি, অবৈধ দখল ও আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে দেশের বেসরকারি খাতের অন্যতম বৃহৎ ইসলামী ব্যাংকের পর সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় হঠাৎ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংকেও। চট্টগ্রামভিত্তিক একটি শিল্প গ্রুপ ব্যাংক দুটির কর্তৃত্ব নিচ্ছে। ওই গ্রুপের হাতে বেসরকারি খাতের আরও বেশ কয়েকটি ব্যাংকের কর্তৃত্ব রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে যে ব্যবস্থায় ব্যাংকের মালিকানা ও ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে তাতে পুরো ব্যাংক খাতে অস্থিরতা ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়বে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
Advertisement
এ বিষয়ে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, দেশে নদী দখল ও ভূমি দখলের মতো ব্যাংকিং খাতেও দখলদারি চলছে, যার কোনো বিচার হচ্ছে না। এ ধরনের ঘটনা সমাজের সর্বত্র বিরাজমান এবং এর প্রভাব পড়ছে সমাজব্যবস্থায়। দিনে দিনে সমাজে অসমতা তৈরি হচ্ছে, বৈষম্য বাড়ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, বেসরকারি খাতের ব্যাংকে মালিকানায় পরিবর্তন আসতেই পারে। তবে বর্তমানে যা হচ্ছে, তাতে স্বচ্ছতার ঘাটতি রয়েছে। এর ফলে যেন ব্যাংকের প্রতি মানুষের আস্থার ঘাটতি না হয়। এমনটি হলে দায়দায়িত্ব নতুন মালিকদের ওপরই বর্তাবে।
তিনি আরও বলেন, যারা এভাবে ব্যাংক অধিগ্রহণ করছেন, তারা ইসলামি ব্যাংকগুলোর প্রতি বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ধোঁয়াশা আছে, বিষয়গুলো পরিষ্কারের দায়িত্ব তাদেরই।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক মইনুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের মালিকানা ওই পরিবারগুলোর মধ্যে স্থায়ী করার উদ্যোগ এটি। এটা অত্যন্ত ভুল সিদ্ধান্ত। রাজনৈতিক স্বার্থ ও স্বজনপ্রীতির কারণে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটা বড় ধরনের রাজনৈতিক দুর্নীতি মনে করি। কারণ, ব্যাংকের আসল মালিক আমানতকারীরা। আমানতকারীদের টাকা অন্যদের কাছে ঋণ দিয়ে ব্যাংকের ব্যবসা পরিচালনা হয়। এসব মালিকদের অনেকেই কোনো পুঁজি বিনিয়োগ না করে ব্যাংকের মালিক-পরিচালক হয়ে যাচ্ছেন।
Advertisement
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির এ প্রসঙ্গে বলেন, পর্ষদ পরিবর্তনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকই ভালো বলতে পারবে। আমরা পরবর্তী সময়ে বিষয়টি দেখবো। মন্দ ঋণ বেড়েছে। বেশকিছু অনিয়ম ঘটছে। তবে আর্থিক খাত সংকটে পড়বে- এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলেও জানান তিনি।
এদিকে নানা অনিয়মে লাগামহীনভাবে বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। সেই সঙ্গে প্রভিশন সংরক্ষণ বা নিরাপত্তা সঞ্চিতির ঘাটতিও বাড়ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে বিতরণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৫২ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮০ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা, যা ডিসেম্বর’১৬ শেষে ছিল ৬২ হাজার ১৭২ কোটি টাকা। অর্থাৎ নয় মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৮ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা। (জুন-সেপ্টেম্বর’১৭) তিন মাসে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি বেড়েছে ছয় হাজার ১৫৯ কোটি টাকা। চলতি বছরের জুন শেষে খেলাপি ঋণ ছিল ৭৪ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা।
সরকারি ও বেসরকারি খাতের সাতটি বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রভিশন ঘাটতিতে পড়েছে। সেপ্টেম্বর শেষে এসব ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি তিন হাজার ৪২১ কোটি টাকা ঘাটতিতে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক।
বিআইবিএম’র গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত চার হাজার ৩৩৯ কোটি টাকার ঋণ হস্তান্তরের ঘটনা ঘটছে। এটি নিয়ে ব্যাংকগুলোর মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে গ্রাহকের সব ধরনের তথ্য সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই না করে ঋণ দেয়া হচ্ছে। যা পরবর্তীতে খেলাপি হয়ে পড়ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গভর্নর ফজলে কবির বলেন, ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ একটি গুরুতর সমস্যা। তবে হঠাৎ করে দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়েনি। এটা দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বেশ সচেতন আছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে ১৪টির নগদ অর্থ সংকট দেখা দিয়েছে। ব্যাংকগুলো হলো- ব্যাংক এশিয়া, যমুনা ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, এবি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সাউথ ইস্ট ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক এবং আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বর মাস শেষে এ ১৪ ব্যাংকের পরিচালন নগদ প্রবাহ বা অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। পরিচালন নগদ প্রবাহ ঋণাত্মক হয়ে যাওয়ার অর্থ ওই প্রতিষ্ঠানে নগদ অর্থের সংকট সৃষ্টি হওয়া। ব্যাংকের ক্ষেত্রে বিতরণ করা ঋণ প্রত্যাশা অনুযায়ী আদায় না হওয়া পরিচালন নগদ প্রবাহ ঋণাত্মক হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ।
এর আগে জুন মাস পর্যন্ত ১১টি ব্যাংকের ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক ছিল। শেষ তিন মাসের ব্যবসায় নতুন করে ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মকের তালিকায় নাম লিখিয়েছে এক্সিম ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক এবং ইস্টার্ন ব্যাংক। আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের নগদ অর্থ সংকটের পাশাপাশি সম্পদমূল্যও ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে সম্পদমূল্য ঋণাত্মক আছে ১৫ টাকা ৫৪ পয়সা।
এছাড়া চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে আগের বছরের তুলনায় চারটি ব্যাংকের সম্পদমূল্য কমে গছে। সম্পদমূল্য কমে যাওয়া ব্যাংকের তালিকায় রয়েছে- সাইথইস্ট ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক এবং পূবালী ব্যাংক।
এর মধ্যে সাইথইস্ট ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরেই নগদ অর্থ সংকটেও রয়েছে। সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি পরিচালন নগদ প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক পাঁচ টাকা ৬৬ পয়সা। আর চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি পরিচালন নগদ প্রবাহ ছিল ঋণাত্মক পাঁচ টাকা। অবশ্য আগের বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ক্যাশ ফ্লো ধনাত্মক ছিল।
এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে সব থেকে বেশি নগদ অর্থ সংকটে পড়া ট্রাস্ট ব্যাংক সংকট থেকে বেরিয়ে এসেছে। সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি পরিচালন নগদ প্রবাহ দাঁড়িয়েছে এক টাকা ১৯ পয়সা, যা গত ৩০ জুন শেষে ছিল ঋণাত্মক ২৬ টাকা ৫২ পয়সা।
বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলছে, যা এখন লাগামহীন। নানা উদ্যোগেও তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে এ খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮০ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ ঋণের ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। খেলাপি ঋণের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৈরি চলতি বছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় ঋণ দিচ্ছে সরকারি ব্যাংকগুলো। অন্যদিকে বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালকরা নিজেদের মধ্যে ঋণ আদান-প্রদান করছেন। এছাড়া ঋণ বিতরণে অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও দুর্নীতি রয়েছে। যাচাই-বাছাই না করেই দেয়া হচ্ছে ঋণ। বিশেষ সুবিধায় পুনর্গঠন করা ঋণ আবার খেলাপি হচ্ছে। ফলে খেলাপি ঋণ এখন লাগামহীন। এ ঋণের বিষয়ে সতর্ক ও সচেতন না হলে আগামীতে ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হতে হবে দেশের ব্যাংকিং খাতকে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, বেশ কয়েকটি কারণে খেলাপি ঋণ বেড়েছে। ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বাড়ার অন্যতম কারণ অনিয়ম, দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনা। বিশেষ সুবিধায় পুনর্গঠনের সুযোগ দেয়ায় অনেক ব্যবসায়ী সেই অপেক্ষায় নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করছেন না। এছাড়া এখন ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা খুব একটা ভালো না। রফতানি কমে গেছে। এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। তাই খেলাপি ঋণ বাড়ছে।
নিরাপত্তা সঞ্চিতির ঘাটতিতে ৭ ব্যাংক
ব্যাংকিং খাতে লাগামহীনভাবে বাড়ছে খেলাপি ঋণ। সেই সঙ্গে দেশের সরকারি ও বেসরকারি খাতের সাতটি বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রভিশন সংরক্ষণ বা নিরাপত্তা সঞ্চিতির ঘাটতিতে পড়েছে। ফলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে এসব ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৮৭৬ কোটি টাকা। সবচেয়ে বেশি তিন হাজার ৪২১ কোটি টাকা ঘাটতিতে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক। ব্যাংকটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়াই এর মূল কারণ। খেলাপি ঋণের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৈরি করা সেপ্টেম্বর ’১৭ প্রান্তিকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্যাংক ব্যবস্থায় খেলাপি ঋণের বিপরীতে নির্ধারিত পরিমাণ নিরাপত্তা সঞ্চিতির অর্থ সংরক্ষণের বিধান রয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় প্রভিশন রাখতে ব্যর্থ হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, রূপালী ও বেসিক ব্যাংক। বেসরকারি খাতের বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও নতুন করে যুক্ত হয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক। মোট ঘাটতির সিংহভাগ রাষ্ট্রায়ত্ত তিন ব্যাংকের।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খেলাপি ঋণ বাড়ার কারণে ব্যাংকিং খাতে বাড়ছে প্রভিশন ঘাটতির পরিমাণ। এ সময়ে যেসব ব্যাংক প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে, তাদের মূলধন ঘাটতিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে ঋণ বিতরণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৫২ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮০ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা; যা গত বছরের ডিসেম্বর শেষে ছিল ৬২ হাজার ১৭২ কোটি টাকা। অর্থাৎ নয় মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৮ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা।
এসআই/এমএআর/এমএস