পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায় আদম পাচারকারীদের খপ্পর থেকে মোট ২ হাজার ৩৮৫ জন বাংলাদেশি নাগরিককে উদ্ধার করা হয়েছে।তিনি বলেন, এর মধ্যে থাইল্যান্ড থেকে ১৩৮ জন, মালয়েশিয়া থেকে ৭৩৮ জন, ইন্দোনেশিয়া থেকে ৭৮১ জন এবং মিয়ানমার থেকে ৭২৮ জন বাংলাদেশি ভাসমান অভিবাসন প্রত্যাশীদের উদ্ধার করা হয়েছে।জাতীয় সংসদে সোমবার সরকারি দলের মুহিবুর রহমান মানিকের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি। তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সব সময়ই বিদেশে উদ্ধারকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মানবপাচারের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট দূতাবাস সমন্বয়ের মাধ্যমে উদ্ধারকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে প্রত্যাবাসনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।মাহমুদ আলী বলেন, কনস্যুলার অ্যাকসেসের মাধ্যমে বাংলাদেশি নাগরিকদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। ওই তালিকা মোতাবেক পুলিশ ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।তিনি বলেন, প্রকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে দেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সরকারি দলের সদস্য সেলিনা বেগমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানবপাচারের শিকার বাংলাদেশিদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং ৩১৫ জন বাংলাদেশির প্রত্যাবসন ইতিমধ্যেই সুসম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও মিয়ানমারে আমাদের রাষ্ট্রদূতেরা সেখানে উদ্ধারকৃত বাংলাদেশি নাগরিকদের পরিচয় নির্ধারণের কাজটি ব্যক্তিগতভাবে তদারক করছেন এবং তাদের মানবিক সাহায্যের বিষয়গুলোতে খোঁজ-খবর রাখছেন।মন্ত্রী বলেন, একই সাথে ভারত মহাসাগর এলাকায় আমাদের আর কোন নাগরিক পাচারকারীদের হাতে ভাসমান বা জিম্মি অবস্থায় আছে কি না সে বিষয়ে আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখছি।আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মানবপাচার আশংকাজনকভাবে বৃদ্ধি, পাচারকৃত ব্যক্তিদের দুঃসহ ও মানবেতর পরিস্থিতি এবং থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় আবিষ্কৃত গণকবর ও নির্যাতন শিবিরের ঘটনায় সরকার গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।এইচএস/এআরএস/পিআর
Advertisement