ইরি ধানের উৎপাদনশীলতা বহুগুণ বাড়ানোর লক্ষ্যে চলছে নতুন নতুন গবেষণা। এ ফসলের শরীরতাত্ত্বিক পরিবর্তন বিষয়ে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। গবেষণায় ধানের জিনের গুণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে এর সালোকসংশ্লেষণের প্রক্রিয়ার দক্ষতা বাড়ানো হবে। ফলে এ ধরনের মৌলিক গবেষণা আগামী প্রজন্মের জন্য আশির্বাদ বয়ে আনবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।
Advertisement
গবেষকরা জানান, ধান গাছ একটি সি৩ ভুক্ত উদ্ভিদ, অন্যদিকে ভুট্টা ও সরগম সি৪ ভুক্ত উদ্ভিদ। সি৪ ফসল অধিক পরিমাণে সূর্যের আলো ও বাতাসের কার্বনডাই অক্সাইড গ্রহণ করে অধিক খাদ্য প্রস্তুত করতে পারে। সি৪ ভুক্ত উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণের দক্ষতা বেশি হবার কারণে সরগমের জীন ব্যবহার করে ধানের উৎপাদন বহুগুণ বৃদ্ধি করার উদ্দেশে এ গবেষণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (International Rice Research Institute) (ইরি) সফর করেন। সেখানে বিগত ২২ বছরব্যাপী এ গবেষণার ৭ বছরের অগ্রগতি বিষয়ে ল্যাবরেটরিতে বিশদভাবে মন্ত্রীকে অবহিত করেন ইরির বিজ্ঞানী ড. রবার্ট কু। মন্ত্রী এ গবেষণার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এ ধরনের মৌলিক গবেষণা আগামী প্রজন্মের জন্য একটি আশির্বাদ বয়ে আনবে বলে জানান।
কৃষিমন্ত্রী ইরির এসব মৌলিক ও উন্নত গবেষণায় বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের অধিক হারে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে কৃষির সাফল্য সরকারের নানামুখী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। বিশেষ করে ধান উন্নয়নে ইরির মাধ্যমে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তাই ইরির গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃষিবান্ধব সরকার সকল সহযোগিতা প্রদান করছে।
Advertisement
সফরকালে ইরির মহাপরিচালক ড. ম্যাথিউ মোরেলসহ ঊর্ধ্বতন বিজ্ঞানীগণ কৃষিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। সফরে মন্ত্রীকে ধান গবেষণার বিভিন্ন দিক বিশেষ করে বাংলাদেশের উপযোগী জলমগ্নতা, খরা, লবণাক্ততা, তাপমাত্রা সহিষ্ণু; ভিটামিন, জিঙ্ক ও আয়রনসমৃদ্ধ অধিক উৎপাদনশীল ধানের বিষয়ে অবহিত করেন।
এফএইচএস/আরএস/জেআইএম