প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুল গাফফার চৌধুরীর আল্লাহর ৯৯ নাম সংক্রান্ত বক্তব্যের দায় নেবে না জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশন। রোববার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা জানিয়েছেন। আব্দুল মোমেন বলেন, গাফফার চৌধুরীর সঙ্গে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের কোনো সম্পর্ক নেই। উনি ব্যক্তিগত মতামত দিয়েছেন। আলোচনাটি চলছিল বাংলাদেশ : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেছেন। তবে এর দায়ভার বাংলাদেশ মিশন নেবে না। তবে তার বক্তব্যের বিকৃতি করা হয়েছে বলে দাবি করেন ড. মোমেন।আব্দুল মোমেন বলেন, প্রথমত যে সংবাদটা প্রকাশিত হয়েছে সেটা খুব ডিসটরটেড। বিষয়টাকে বিভ্রান্তকর ভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। এক ধরনের অপসাংবাদিকতা করা হয়েছে। উনি বলেছেন, অনেক কিছুই অ্যাডপশন (আত্মীকরণ) হয়। যেমন ধরুন, আরবিতে যে নামগুলো আছে সেগুলো কাফেরদের নাম ছিল। পরে ইসলাম এসে সেগুলো অ্যাডপ্ট করেছে। কিন্তু তখন এটা নিয়ে কেউ আপত্তি করেনি। স্থায়ী প্রতিনিধি আরো বলেন, বড় বড় দেব-দেবির নামে গডের নাম দিয়েছে। উনি এই প্রেক্ষিতটাই বোঝাতে চেয়েছেন। কিন্তু দুই-একটা সংবাদমাধ্যম এই সংবাদটা টুইস্ট (বিকৃত) করেছে। উনি বলেছেন, বাংলাদেশের অনেক লোক নামাজ পড়ে, দাড়ি রাখে। কিন্তু সেখানেও বিভিন্ন অফিসে ঘুষ না দিলে কাজ হয় না। যে লোকগুলো নামাজ পড়ে, সে লোকগুলোর তো সৎ হওয়া উচিত। কিন্তু এ বিষয়টার তো ব্যতয় ঘটছে। তারপর তিনি মানুষের নাম রাখার প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু যেভাবে তার বক্তব্য পরিবেশন করা হয়েছে, সেটা একেবারেই টুইস্টেড। খুবই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এভাবে তার বক্তব্য ছাপানো হয়েছে।উল্লেখ্য, শুক্রবার নিউইয়র্কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আব্দুল গাফফার চৌধুরী বক্তব্য দেওয়ার পর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, বিশিষ্ট সাংবাদিক আব্দুল গাফফার চৌধুরী বলছেন, আরবি ভাষা, হাজার বছরের পুরনো ভাষা। আমরা বলি ইসলামিক ভাষা। এই ভাষাতেই কাফেররা কথা বলেছে। আজকে আরবি ভাষার যে সমস্ত শব্দ আমরা ব্যবহার করি, সবই কাফেরদের ব্যবহৃত ভাষা। তা আমরা বলি যে আমাদের নাম, আল্লাহর ৯৯ নাম। সবগুলাই কিন্তু এই কাফেরদের দেবতাদের ভাষা ছিল। আর রহমান, গাফফার, গফুর সবই তখনকার ব্যবহৃত নাম ছিল। এখন সেগুলো ইসলাম অ্যাডপ্ট করেছে। এই ভিডিও প্রকাশের পর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের অনেকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এএইচ/এআরএস/পিআর
Advertisement