ঈদের আর মাত্র ১২ দিন বাকি। এরই মধ্যে জমে উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঈদ বাজার। ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা এসে ভিড় জমাচ্ছেন জেলা শহরের শপিংমলগুলোতে। তবে জেলা শহরের পৌর আধুনিক সুপার মার্কেট, সিটি সেন্টার, এফ.এ টাওয়ার, পৈার আধুনিক সুপার মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি শপিং মলে সন্ধ্যা হলেই বখাটেদের উৎপাত বেড়ে যায়। এর ফলে ঈদের কেনাকাটার জন্য শপিংমলে আসা তরুণীরা বখাটেদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। বখাটে যুবকদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না তরুণী থেকে শুরু করে মাঝ বয়সী নারীরাও।এদিকে ঈদের কেনাকাটা করতে গিয়ে বখাটেদের দ্বারা ইভটিজিংয়ের শিকার হলেও লজ্জায় কোনো প্রতিবাদ করছেন না ভুক্তভোগীরা। শপিং মলের আশপাশে স্বল্প সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করা হলেও তা তেমন কোনো কাজে আসছে না। এর ফলে দিনদিন আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠছেন বখাটে যুবকরা।ভুক্তভোগী কয়েকজন তরুণী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাগো নিউজকে বলেন, সারাদিন রোজা রেখে ইফতারের পর শপিংমলে কেনাকাটা করতে এসে বখাটে যুবকদের দ্বারা তারা ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছেন। কিন্তু লজ্জায় কাউকে বলতে পারেন না। শপিংমলের পাশে পুলিশ মোতায়েন থাকলেও তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জাগো নিউজকে বলেন, তরুণীদের ইভটিজিংয়ের ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দেননি। তবে শপিংমলের আশপাশে সিভিল পোশাকে মহিলা পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে জেলা শহরের কাজীপাড়া মহল্লা থেকে তুই তরুণী কেনাকাটার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে স্থানীয় কালীবাড়ি মোড় এলাকায় ইভটিজিংয়ের শিকার হন। এসময় ওই বখাটে যুবক তরুণীদের সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করেন।আজিজুল আলম সঞ্চয়/এমজেড/এমএস
Advertisement