অস্ট্রেলিয়ান নির্বাচকরা শন মার্শকে দলে নিলেন, অ্যাডিলেড ওভালে টস জিতে বোলিং বেছে নিলেন জো রুট। দুটো সিদ্ধান্তই বিস্ময় ছড়িয়েছে। এর মধ্যে অন্ততপক্ষে একটি সিদ্ধান্তকে লেটার মার্ক দিয়ে দেয়া যায়। ঠিক ধরেছেন, মার্শের অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্তটি।
Advertisement
নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদানটা ব্যাট হাতেই দিয়েছেন শন মার্শ। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসটাকে বলতে গেলে একাই টেনে নিয়েছেন বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান। তার হার না মানা সেঞ্চুরিতে ভর করেই ৮ উইকেটে ৪৪২ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। জবাব দিতে নেমে দ্বিতীয় দিনের খেলা বৃষ্টিতে বন্ধ হওয়ার আগে ২৯ রান তুলতে ১ উইকেট খুইয়ে বসেছে ইংল্যান্ড।
অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকরা বাহ্বা পেতে পারেন আরেকটি কারণে। উইকেটরক্ষক টিম পেইনকে দলে নেয়ার সিদ্ধান্তটাও যে সঠিক প্রমাণ হয়েছে! গুরুত্বপূর্ণ সময়ে হাফসেঞ্চুরির এক ইনিংস খেলে দিয়েছেন দীর্ঘদিন পর দলে আসা এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।
অস্ট্রেলিয়ার এই দুই ব্যাটসম্যানই অবশ্য জেমস অ্যান্ডারসনের বলে অল্প সময়ের ব্যবধানে এলবিডব্লিউয়ের শিকার হয়েছিলেন। রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান তারা। ইংল্যান্ডের দিনটাই যে খারাপ ছিল!
Advertisement
৪ উইকেটে ২০৯ রান নিয়ে খেলতে নেমে দিনের শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। পিটার হ্যান্ডসকম্বকে (৩৬) এলবির ফাঁদে ফেলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। এরপর টিম পেইনর সঙ্গে ৮৫ রানের জুটি শন মার্শের। অভিষিক্ত ক্রেইগ ওভারটনের শিকার হয়ে ফেরার আগে পেইন করেন ৫৭ রান।
এরপর মিচেল স্টার্ককে ৬ রানে ফিরিয়ে ব্রড অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস দ্রুত গুটিয়ে দেয়ার ইঙ্গিত দিলেও সেটা সম্ভব হয়নি। অষ্টম উইকেটে প্যাট কামিন্সকে নিয়ে ৯৯ রানের আরেকটি বড় জুটি গড়েন মার্শ। কামিন্স ৪৪ রান করে ওভারটনের বলে আউট হন।
পরে নাথান লিয়নকে নিয়ে আরও কিছুটা সময় চালিয়ে যান শন মার্শ। ২৩১ বল মোকাবেলায় ১৫ বাউন্ডারি আর এক ছক্কায় ১২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান সর্বশেষ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন গত বছরের আগস্টে শ্রীলঙ্কা সফরে। এবার অ্যাশেজে তার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তাই ভীষণ সমালোচনা হচ্ছিল।
বড় সংগ্রহের জবাব দিতে নেমে শুরুতেই মার্ক স্টোনম্যানকে (১১) হারিয়ে বসেছে ইংল্যান্ড। অ্যালিস্টার কুক অপরাজিত আছেন ১১ রানে। জেমস ভিন্স এখনও রানের খাতা খুলতে পারেননি।
Advertisement
এমএমআর/আরআইপি