বিংশ শতাব্দীতে নাকি শোকের আয়ু একবছর। একবিংশ শতাব্দীতে সেই আয়ু নিশ্চয়ই আরো কমে গেছে। আমরা আসলেই খুব নিষ্ঠুর। ৩০ নভেম্বর লন্ডন থেকে আনিসুল হকের মৃত্যুর খবর আসার সঙ্গে সঙ্গে ফিসফাস করে আরেকটি প্রশ্ন বাতাসে ঘুরছে, এরপরে কে? ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে পুনঃনির্বাচন কবে হবে, কে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন, কে বিএনপির মনোনয়ন পাবেন, কে জনগণের রায় পাবেন?
Advertisement
এ প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্য আরো কিছুটা সময় নিলে ভালো হতো। কিন্তু আমাদের যেন তর সইছে না। এমনকি বনানী আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজার সময়ও আনিসুল হকের ছেলে নাভিদুল হককে এ ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। এ নিয়েও দেখি সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনা, কেন নাভিদুল হক দায়িত্ব নিয়ে কথা বললেন। কিন্তু সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতে পারলে নাভিদুল হক উত্তর দিতে পারবেন না কেন? আর নাভিদ উত্তর দিয়েছেন খুবই কৌশলে, ‘দেশের জন্য, শহরের জন্য যে কোনো স্যাক্রিফাইস করতে বলবেন, পজিশন থেকে নয়, পজিশন ছাড়াও, আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে যে কোনো কিছু করতে প্রস্তুত।' নাভিদুল হক আর কী বলতে পারতেন?
যতই নিষ্ঠুর শোনাক, কে হবেন আনিসুল হকের উত্তরসূরি, এ প্রশ্ন ফিসফাস থেকে আস্তে আস্তে উচ্চকিত হবে। কে হবেন, জানি না; তবে একটা বিষয় জানি, যিনিই ঢাকা উত্তরের নগরপিতা হন, আনিসুল হক তার কাজটা কঠিন করে দিয়ে গেছেন। আনিসুল হক সব ক্ষেত্রেই সফল ছিলেন- টেলিভিশন উপস্থাপক-বিজিএমইএ-এফবিসিসিআই-সার্ক চেম্বারের নেতৃত্ব, মেয়রশিপ- তিনি সফল ছিলেন সব জায়গায়। তার সাফল্যের মূল রহস্য পরিকল্পনা আর সাহসের সঙ্গে তা বাস্তবায়নে।
ঢাকা উত্তরের মেয়র পদে আনিসুল হকের মতো একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তির মনোনয়নটাই ছিল দারুণ চমক। চমকের প্রাথমিক ধাক্কাটা সামলে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েন পরিকল্পনায়। একটি ভালো, বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা যে কোনো কাজের অনেকটাই করে দেয়। তাই পরিকল্পনা প্রণয়নে তিনি সহায়তা নেন নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিকদের। নির্বাচনের আগেই তিনি সমস্যা চিহ্নিত করেন। নির্বাচনের পর ঝাঁপিয়ে পড়েন সমাধানযাত্রায়।
Advertisement
মাত্র দুই বছরে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত সমস্যা হয়তো সমাধান সম্ভব নয়। কিন্তু আনিসুল হক সেই সমাধানযাত্রার বন্ধুর পথে যাত্রা শুরু করেছিলেন এবং মানুষ তাকে বিশ্বাস করেছিল। বিশ্বাস শুধু তার কথায় করেনি, করেছিল তার কাজের ধরন দেখে। প্রথম কথা হলো, আগে কোনো মেয়র এভাবে ভাবেনইনি। আনিসুল হক এমন অস্বাভাবিক কিছু করেননি। তারপরও সবাই তার কাজ নিয়ে কথা বলছে, কারণ এ ধরনের কাজ স্বাভাবিক হলেও আগে কেউ করেনি। তার কাজের ফিরিস্তি দিতে গেলে এ লেখার আয়তন ভদ্রতা ছাড়িয়ে যাবে। তিনি অনেককিছুই করেছেন; কিন্তু কোনটা সবচেয়ে কঠিন, সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং; সেটা নিয়ে তর্ক হতে পারে। তবে ভোটাভুটি হলে নিশ্চয়ই সাতরাস্তা মুক্ত করা শীর্ষ স্থান পাবে। কারণ এটা আনিসুল হকের দৃঢ়তা ও সাহসের প্রমাণ হয়ে থাকবে অনেকদিন। আর এ রাস্তার উপকারভোগীর সংখ্যাও অনেক।
সাতরাস্তা নিয়ে বেশি আলোচনা হয় বলে, গাবতলী ও মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড যানজটমুক্ত করার বিষয়টি একটু আড়ালেই থেকে গেছে। তবে আমার বিবেচনায় সবচেয়ে কঠিন কাজ ছিল বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক জোনে বিভিন্ন দূতাবাসের সামনের রাস্তা উন্মুক্ত করা। আনিসুল হক নিজে দাঁড়িয়ে থেকে কাজটি করেছিলেন। কাজটি কঠিন বলছি, কারণ এ উদ্যোগের কারণে কূটনৈতিভাবে চাপে পড়তে পারতো বাংলাদেশ। আনিসুল হক সাফল্যের সঙ্গে কাউকে বিরক্ত না করেই কাজটি শেষ করতে পেরেছিলেন। আরেকটি কঠিন কাজ ছিল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করা এবং সব টেন্ডার ব্যবস্থাকে ই-টেন্ডারের আওতায় আনা। এ কাজটি করতে গিয়ে দলের, এসনকি সিটি করপোরেশনের ভেতর থেকেই প্রবল বাধার মুখে পড়েছিলেন। কিন্তু কাউকে পাত্তা না দিয়ে তিনি করে গেছেন, তিনি যা ভালো মনের করেছেন সেটাই। তিনি স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় একটি বাসযোগ্য স্মার্ট, আধুনিক, সবুজ, মানবিক ঢাকা গড়তে চেয়েছিলেন।
দুই বছরে আনিসুল হক গুলশান, বারিধারা, বনানীকে আমূল বদলে দিয়েছিলেন। এসব এলাকায় হাঁটতে গেলে সাধারণ মানুষ অনেকদিন তাকে মনে রাখবে। তবে অনেকেই বলছিলেন, আনিসুল হক অভিজাত মানুষ এবং তিনি কাজও করেছেন অভিজাতদের জন্যই। কিন্তু এরপরই তার পরিকল্পনা ছিল খিলগাঁও, মিরপুর, মোহাম্মদপুর নিয়ে। আনিসুল হক বেঁচে থাকলে এসব এলাকার মানুষও হয়তো গুলশান-বনানীর ছোঁয়া পেতেন। আনিসুল হকের আরেকটি বড় কাজ ছিল নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়। দুই বছরে তিনি ৫২টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার সেন্টার-এসটিএস নির্মাণ করেন। এরফলে রাস্তায় রাস্তায় ছড়িয়ে থাকা, গন্ধ ছড়ানো ডাস্টবিনগুলো বদলে গিয়েছিল। এসটিএস নির্মাণে রাজধানী হয়ে উঠেছিল অনেক পরিচ্ছন্ন। আনিসুল হক ঢাকা উত্তরে ১১টি পাবলিক টয়লেট বানিয়েছিলেন। তার ভাষায় এগুলো ‘তার বাসার চেয়েও পরিষ্কার’। শুধু বানিয়েই দায়িত্ব শেষ করেননি, সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণও করছিলেন দারুণ দক্ষতায়।
‘মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে’ কবিতার লাইনের মতন ঢাকার আকাশ একসময় ঢাকা পড়ে গিয়েছিল হরেকরকম বিলবোর্ডে। আনিসুল হক ঢাকার আকশকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন। বদলে দিয়েছিলেন এয়ারপোর্ট রোড। বিদেশি কেউ নামলেই তার সামনে উপস্থাপিত হতো পরিচ্ছন্ন ঢাকার ছবি। ঢাকার সবচেয়ে বড় সমস্যা যানজট। এটি মোটেই মেয়রের বিষয় নয়। কিন্তু আনিসুল হক কিন্তু তার নয় বলে দায়িত্ব এড়িয়ে যাননি। তিনি নগরীর পরিবহন ব্যবস্থা বদলে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি গুলশান-বনানী-বারিধারা এলাকার জন্য ‘ঢাকা চাকা’ নামে ১০টি আধুনিক শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বাস নামিয়েছিলেন। এ এলাকার জন্য বিশেষ রঙের ৪৫০টি রিকশা নামিয়েছিলেন। যানজট কমাতে আবদুল্লাহপুর থেকে তেজগাঁও সাতরাস্তা পর্যন্ত ১২টি ইউটার্ন নির্মাণের কাজ শুরু করেছিলেন। এছাড়া গণপরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আনতে একক ব্যবস্থাপনায় চার হাজার বাস নামানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। শহীদ সন্তান তাহমিনা খান আনিসুল হককে স্যালুট জানিয়েছিলেন স্বাধীনতাবিরোধী মোনায়েম খানের বাড়ির একাংশ উচ্ছেদ করার কারণে। মোনায়েম খানের বাড়ির সামনে ১০ কাঠা জমি ৪৫ বছর ধরে অবৈধ দখলে ছিল।
Advertisement
এ তো গেল তিনি যা করেছেন, তার ফিরিস্তি। কিন্তু যা করতে চেয়েছিলেন, তাও কম রোমাঞ্চকর নয়। গণপরিবহন এবং খিলগাঁও-মিরপুর-মোহাম্মদপুর এলাকার উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা তো আগেই বলা হয়েছে। তার আরেকটি বড় পরিকল্পনা ছিল ঢাকার প্রাণকেন্দ্র থেকে কারওয়ান বাজারের পাইকারি বাজার সরানো। মহাখালী, আমিনবাজার, সায়েদাবাদে কাঁচাবাজার স্থানান্তর করা গেলে ঢাকার যানজট পরিস্থিতি বদলে যেতে পারতো। আনিসুল হকের পরিকল্পনা ছিল খেলার মাঠগুলো উন্মুক্ত করে দেয়ার।
ঢাকার পরিবেশ উন্নয়ন এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে আরেকটি বড় ও উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা ছিল আনিসুল হকের। এটা আমার জানা ছিল না। স্থপতি ইকবাল হাবিব এটিএন নিউজের টক শো’তে এ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। হাতিরঝিলের আদলে আরো তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিলেন আনিসুল হক। এর পরিকল্পনাও শেষ ছিল। বাকি শুধু সমাধান যাত্রার পথে হাঁটা। বোটানিক্যাল গার্ডেনের উত্তরে, উত্তরা তৃতীয় প্রকল্পের দক্ষিণে ‘জল নিসর্গ’ নামে একটি প্রকল্পের স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। এর আয়তন হাতিরঝিলের সাড়ে তিন গুণ। আনিসুল হকের স্বপ্ন ছিল এখানে প্রাকৃতিক জলাধার, পরিবেশবান্ধব বিনোদন কেন্দ্র, ক্যাম্পিং, সাঁতার, পরিবেশ-প্রকৃতির সঙ্গে নাগরিকদের মেলবন্ধন ঘটানোর। এছাড়া গোড়ান-চাটবাড়ি এলাকায় আরেকটি জলাধার নির্মাণ, রামপুরা ব্রিজ থেকে ত্রিমোহনী নরাই খালকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের আধার হিসেবে গড়ে তোলা। তার পরিকল্পনা ছিল রাজধানীর হারিয়ে যাওয়া খালগুলো পুনরুদ্ধার। এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে রাজধানীর জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হতে পারে। বিশেষ করে ‘জল নিসর্গ’ প্রকল্পটি আমাকে স্বপ্নাতুর করে তুলেছে।
আনিসুল হক বলতেন এবং বিশ্বাস করতেন মানুষ তার স্বপ্নের চেয়েও বড়। সবার স্বপ্নগুলো একত্রিত করলে বদলে দেয়া সম্ভব সবকিছুই। তিনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখতেন না। বরং এই স্বপ্নগুলো তাকে তাড়িয়ে বেড়াতো। তিনি ছুটতেন তার স্বপ্নের পেছনে। ৬৫ বছরের তরুণ আনিসুল হক কাজ করতেন দিনে ১৮ ঘণ্টা। কোনো সমস্যা হলেই ছুটে যেতেন। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে হাত লাগিয়ে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। নিশ্চয়ই ঢাকা উত্তর একজন নতুনি নগরপিতা পাবে। কিন্তু তার মতো স্বপ্নবান, সাহসী মানুষ পাওয়া সত্যি কঠিন। যিনিই নতুন মেয়র হবেন, তার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে আনিসুল হকের কাজগুলো ধরে রাখা এবং অসমাপ্ত স্বপ্নগুলো সফল করা। কাজগুলো কঠিন। কারণ এরই মধ্যে সাত রাস্তায় টুকটাক ট্রাক রাখা শুরু হয়ে গেছে। কাজগুলো কঠিন কিন্তু অসম্ভব যে নয় তা তো আনিসুল হক দেখিয়ে গেছেন। তিনি আপাত অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। নতুন মেয়রকে খালি তার দেখানো পথে হেঁটে যেতে হবে কোনো পিছুটানকে পাত্তা না দিয়ে।
তবে সব কাজ মেয়রের একার নয়। নাগরিক হিসেবে আমাদেরও দায়িত্ব আছে। যেমন আনিসুল হক মারা যাওয়ার পর গ্রিন সেভার্সের আহসান রনি ফেসবুকে লিখেছেন, তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হলো একটি করে গাছ লাগানো। যাতে আনিসুল হকের স্বপ্নের সবুজ ঢাকা বাস্তবে পাওয়া যায়। তারকা আলোকচিত্রী প্রীত রেজাও আনিসুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নিজ নিজ জায়গা থেকে কিছু কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন। কাজগুলো খুব ছোট, চাইলেই করা যায়। যেমন রাস্তায় ফেলা চিপসের প্যাকেটটা উঠিয়ে ময়লার বিনে ফেলা, অহেতুক হর্ন না বাজানো, কিছু গাছ লাগানোর, অহেতুক পোস্টারিং কিংবা দেয়াল লিখন না করা, অন্য নাগরিকের সুবিধার কথা ভাবা ইত্যাদি। আনিসুল হক যদি এতগুলো অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন। আমরা কেন এ ছোট কাজগুলো করতে পারবো না?
নারী-পুরুষকে আলাদা করে বিবেচনা করি না আমি। তবু বলা হয়, একজন সফল পুরুষের পেছনে একজন অনুপ্রেরণাদায়ী নারী থাকেন। আনিসুল হকের জন্য বিষয়টি একদম সত্যি। আনিস-রুবানা আসলে মানিকজোড়। আনিসুল হকের সাফল্যের পেছনে রুবানা হকের অবদান অসীম। তার পারিবারিক বন্ধুরা আগেই জানতেন। সবাই জেনেছেন মেয়র নির্বাচনের সময়। নির্বাচনী প্রচারণায় সারাক্ষণ আনিসুল হকের পাশে ছায়ার মতো ছিলেন রুবানা। তার স্মার্ট নির্বাচনী প্রচারণা এবং স্মার্ট নগরীর অনেক পরিকল্পনায় ছিল রুবানা হকের ছোঁয়া। আনিসুল হক বারবার তার এ অবদানের কথা স্বীকার করেছেন।
২৭ বছরের সংসারে আনিসুল হকের সঙ্গে অনেক বন্ধুর পথ হেঁটেছেন রুবানা। জিতেছেন অনেক লড়াই। কিন্তু এই চূড়ান্ত লড়াইয়ে হেরে গেলেন রুবানা। সাড়ে ৩ মাস প্রাণান্তকর চেষ্টায়ও ফেরানো গেল না প্রিয় আনিসুল হককে। আনিসুল হক গান ভালোবাসতেন, কবিতা ভালোবাসতেন। রবীন্দ্রনাথ বড় প্রিয় ছিল তাদের। আনিসুল হককে হারিয়ে রুবানাও আশ্রয় নিয়েছেন রবীন্দ্রনাথেই। আনিসুল হকের মরদেহ নিয়ে দেশে ফেরার পথে রুবানা ফেসবুকে লিখেছেন-
‘প্রিয় তারে রাখিল না, রাজ্য তারে ছাড়ি দিল পথ,রুধিল না সমুদ্র পর্বত।আজি তার রথচলিয়াছে রাত্রির আহ্বানে নক্ষত্রের গানেপ্রভাতের সিংহদ্বার-পানে।তাই স্মৃতিভারে আমি পড়ে আছি,ভারমুক্ত সে এখানে নাই।'
আমরা জানি আনিস ছাড়া রুবানার জীবন কঠিন। স্মৃতিভারেই পড়ে আছেন তিনি। কিন্তু স্মৃতিভারে পড়ে থাকলে আনিসুল হক কষ্ট পাবেন। তার স্মৃতির প্রতি সম্মান জানানোর সবচেয়ে ভালো উপায় তার স্বপ্নের পথে হাঁটা, তার অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করা। রুবানা একা নন, সেই পথে তার সঙ্গে হাঁটতে হবে আমাদেরও, যারা আনিসুল হককে ভালোবাসি।
৩ ডিসেম্বর, ২০১৭
probhash2000@gmail.com
এইচআর/পিআর