বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশের জন্য বিখ্যাত চাঁদপুর। চাঁদপুরকে তাই ‘ইলিশের বাড়ি’ বলা হয়। পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়ার মিলনস্থলে অবস্থিত চাঁদপুর শহরটি আরো অনেক কারণে প্রসিদ্ধ। তাই একদিন-দু’দিনের ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন চাঁদপুর থেকে।
Advertisement
অবস্থানচাঁদপুর জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থলে এ জেলা অবস্থিত। জেলাটি ১৭০৪.০৬ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত।
পার্শ্ববর্তী জেলাচাঁদপুরের উত্তরে মুন্সীগঞ্জ এবং কুমিল্লা, দক্ষিণে নোয়াখালী, ল²ীপুর, বরিশাল, পূর্বে কুমিল্লা এবং পশ্চিমে মেঘনা নদী ও শরীয়তপুর এবং মুন্সীগঞ্জ জেলা দিয়ে বেষ্টিত।
নামকরণবার ভূঁইয়াদের আমলে চাঁদপুর অঞ্চল বিক্রমপুরের জমিদার চাঁদরায়ের দখলে ছিল। এখানে তিনি একটি শাসনকেন্দ্র স্থাপন করেছিলেন। ঐতিহাসিক জে এম সেনগুপ্তের মতে, ‘চাঁদরায়’র নামানুসারে এর নাম রাখা হয় চাঁদপুর। অন্যমতে, চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া পুরিন্দপুর মহল্লার ‘চাঁদ ফকির’র নামানুসারে এর নাম রাখা হয়েছে চাঁদপুর। কারো কারো মতে, ‘শাহ আহমেদ চাঁদ’ নামে একজন প্রশাসক দিল্লি থেকে পঞ্চদশ শতকে এখানে এসে একটি নদীবন্দর স্থাপন করেছিলেন। তার নামানুসারে এখানকার নাম রাখা হয়েছে চাঁদপুর।
Advertisement
বৈশিষ্ট্যচাঁদপুরের বৈশিষ্ট্য বলে শেষ করার মতো নয়। প্রথমত বলতে গেলে- চাঁদপুরের মানুষ আতিথেয়তার জন্য বিখ্যাত। ইলিশ মাছের অন্যতম প্রজনন অঞ্চল হিসেবে চাঁদপুর ‘ইলিশের বাড়ি’ বা ‘সিটি অব হিলশা’ নামে পরিচিত। শহরটি ১৯৮৪ সালের আগ পর্যন্ত বৃহত্তর কুমিল্লার একটি অংশ ছিল।
নদীচাঁদপুর জেলা বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য দু’টি নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত। পদ্মা ও মেঘনা নদী দু’টি শহরের কাছে এসে মিলেছে। মেঘনা নদী ডাকাতিয়া, ধোনাগোদা ও মতলব নদীর সাথে যুক্ত হয়েছে। এছাড়াও গোমতী, উধামধি ও চারাতভোগ নদী উল্লেখযোগ্য।
যা দেখবেনচাঁদপুর শহরে দেখার মতো অনেক কিছুই রয়েছে। এরমধ্যে বড় স্টেশন মোলহেড নদীর মোহনা, জেলা প্রশাসকের বাংলোয় নাগলিঙ্গম গাছ, ইলিশ চত্বর, নয়টি ভাস্কর্য, প্রাচীন ও প্রতœসম্পদ, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন, চিড়িয়াখানা, মৎস্য জাদুঘর, বোটানিকাল গার্ডেন, শিশু পার্ক, হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ, মেঘনা-পদ্মার চর, ফাইভ স্টার পার্ক, গুরুর চর এবং রূপসা জমিদার বাড়ি উল্লেখযাগ্য।
যেভাবে যাবেনঢাকার সদরঘাট থেকে চাঁদপুরগামী লঞ্চে চড়ে যাওয়া যায়। এছাড়া সায়েদাবাদ থেকে বাসযোগে চাঁদপুর যাওয়া যায় এবং কমলাপুর থেকে ট্রেনে লাকসাম নেমে সেখান থেকে চাঁদপুরে যাওয়া যায়। তবে লঞ্চে যাওয়ার মজাই আলাদা।
Advertisement
কোথায় থাকবেনচাঁদপুরে বেশকয়েকটি আবাসিক হোটেল এবং বোর্ডিং রয়েছে। তবে থাকার ক্ষেত্রে ভাড়া এবং অন্যান্য বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া ভালো।
এসইউ/এমএস