আইন-আদালত

বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি : আরও এক সপ্তাহ সময় পেল রাষ্ট্রপক্ষ

নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি গেজেট আকারে প্রকাশে আরও এক সপ্তাহ সময় পেল রাষ্ট্রপক্ষ। রোববার রাষ্ট্রপক্ষে সময় আবেদনের পরিপেক্ষিতে আদালত আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় মঞ্জুর করেন।

Advertisement

ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এর আগে আদালতে সময় আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

রাষ্ট্রপতি অনুমতি দিলে ৩ ডিসেম্বরের আগেই অধস্তন (নিম্ন) আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত ও আচরণ বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গত ১৭ নভেম্বর (শুক্রবার) আইনমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির হুকুম পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা এ গেজেট প্রকাশ করব। তিনি অনুমতি দিলে ৩ ডিসেম্বরের আগে গেজেট প্রকাশ করতে পারব। এখন রাষ্ট্রপতির অনুমতির অপেক্ষা।’

এর আগেও গেজেট প্রকাশে দফায় দফায় সময় নেয় সরকার পক্ষ। তারও আগে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন না করায় আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর তলবও করেছিলেন আপিল বিভাগ। ২০১৬ সালের ৭ নভেম্বর বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা ২৪ নভেম্বরের মধ্যে গেজেট আকারে প্রণয়ন করতে সরকারকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

Advertisement

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। ১২ দফার মধ্যে ইতোমধ্যে কয়েক দফা বাস্তবায়ন করেছে সরকার। এ জন্য বারবার আদেশ দিতে হয়েছে আপিল বিভাগকে। এমনকি ২০০৪ সালে আদালত অবমাননার মামলাও করতে হয়েছে বাদীপক্ষকে। এরপর ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক ঘোষণা করেন।

এ অবস্থায় ২০১৫ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগ চার সপ্তাহ সময় দেন সরকারকে। এরপর গত বছরের ৭ মে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি খসড়া শৃঙ্খলাবিধি তৈরি করে সুপ্রিম কোর্টে পাঠানো হয়। কিন্তু তা মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে না হওয়ায় সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ একটি কমিটি গঠন করে আলাদা একটি শৃঙ্খলাবিধি তৈরি করেন। গত ২ জানুয়ারি এ বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

২০০৭ সালের ১০ জানুয়ারি আপিল বিভাগ বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ সংক্রান্ত চারটি বিধিমালা সাত দিনের মধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশের নির্দেশ দেন। তবে এ সংক্রান্ত মামলাটি এখনও আপিল বিভাগে বিচারাধীন। ১২ দফা নির্দেশনার যেসব দফা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য তাগিদ রয়েছে।

এফএইচ/আরএস/এমএস

Advertisement