গ্রিসের ঋণ সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক দাতাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দেশটির বেশিরভাগ ভোটার ‘না’ ভোট দিয়েছেন। রোববারের গণভোটে ষাট শতাংশেরও বেশি ভোটার ‘না’ ভোট দিয়েছেন। তবে এই ভোটের ফলাফল নিয়ে গ্রিসের সাধারণ মানুষের মনে এখনও আতংক কাজ করছে।এথেন্সে গত দুই দশকেরও বেশী সময় ধরে বসবাসকারী হোসেন ফারুক নামে এক ব্যক্তি জানান, সাধারণ মানুষ কেমন এক অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে। তারা এখন গ্রিসের পরিস্থিতি, অর্থনৈতিক অবস্থা আগামীতে কী হবে এ বিষয়ে নানা ধরনের আলাপ আলোচনা করছে।ফারুক বলেন, গ্রিসে বসবাসরত বিদেশিরা চিন্তা করছে ‘না’ ভোট জয়যুক্ত হওয়ার কারণে গ্রিস কি এখন ইউরোজোন থেকে বের হয়ে যাবে? হোসেন ফারুক আরও জানিয়েছেন যে সেখানকার বাংলাদেশিরা কোন ভোট দেয়নি, তাদের সেই সুযোগ হয়নি।তবে বাংলাদেশিরা ‘হ্যাঁ’ ভোটের পক্ষে ছিল বলে জানান ফারুক। তাদের মতে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিলে গ্রিস ইউরোজোনে থাকার সম্ভাবনা বেশি ছিল। গ্রিসের মানুষজনের মধ্যে এখন একটাই আতংক যে গ্রিস ইউরোজোনে থাকবে কিনা, আগামীতে কী হবে দেশের পরিস্থিতি?“মানুষের মনের মধ্যে এই চিন্তা ভবিষ্যতে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো, তাদের মধ্যে বিষন্নতা অন্যমনস্কতা কাজ করছে”-বলেন হোসেন ফারুক। গ্রিসের এই সংকট মানুষের দৈনন্দিন জীবনে খুব বাজে প্রভাব ফেলেছে বলে জানান ফারুক।হোসেন ফারুক বলেন, গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সব ব্যাংক বন্ধ থাকার কারণে ব্যবসায়ীদের অবস্থা খুবই খারাপ। ব্যাংক থেকে ৫০ ইউরোর বেশি কেউ তুলতে পারছেনা, বাজারে কিছু পাচ্ছেনা, সবদিকেই একটা অভাব কাজ করছে। সূত্র : বিবিসি।এআরএস/এমএস
Advertisement