খেলাধুলা

সাকিব ঝলকে উড়ে গেল রাজশাহী

ঢাকার পাহাড় সমান রান তাড়া করতে নেমে অনেকটা মুখ থুবড়েই পড়ল রাজশাহী কিংসের ব্যাটসম্যানরা। সাকিবের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১৮.৩ ওভারে মাত্র ১০৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় মুশফিকুর রহীমের দল। ফলে ম্যাচ ৯৯ রানে জিতে নেয় ঢাকা ডায়নামাইটস।

Advertisement

এ জয়ের ফলে শেষ চার নিশ্চিত করলো ঢাকা ডায়নামাইটস। খালি চোখে রাজশাহীর শেষ চারে ওঠা বেশ কঠিন হয়ে গেলো। তাদের সামনে বাকি আছে আর এক ম্যাচ। ১১ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ৮। ওই ম্যাচটি জিতলে হবে ১০। সে ক্ষেত্রে রংপুর রাইডার্সকে হারতে হবে বাকি দুই ম্যাচেই। রংপুর একটিতে কোনোমতে জিতে গেলেই বিদায় নিতে হবে গতবারের রানারআপদের।

শুরু থেকেই সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণি তোপের মুখে পড়ে রাজশাহী। প্রথম ওভারেই তিনি ফিরিয়ে দেন ওপেনার লেন্ডল সিমন্স এবং তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা লুক রাইটকে। পরের ওভারেই মুশফিকুর রহীমকে ফিরিয়েই রাজশাহীর পরাজয় প্রায় নিশ্চিত করে দেন তিনি। এ সময় রাজশাহীর রান মোটে ৯। সাকিবের সঙ্গে জ্বলে ওঠেন মোসাদ্দেক সৈকতও। তিনি স্ট্যাম্পিয়ন করার জাকির হাসানকে। ১৯ রানেই শেষ ৪ উইকেট।

এরপর খানিকটা ঝড় তোলার চেষ্টা করেন সাতিম প্যাটেল আর মুমিনুল হক। ৩৬ রানের জুটি গড়েন তারা দু’জন। কিন্তু কাইরন পোলার্ডের বলে বিরক্ত হয়ে বিগ শট খেলতে গিয়ে নাদিফ চৌধুরীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।

Advertisement

রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ রানের ইনিংস খেলেন সামিত প্যাটেল। ১৭ বল খেলে দুই বাউন্ডারি ও ২ ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে তিনি এ ইনিংসটি খেলেন। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসটি আসে মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে। ২১ বল খেলে ১৯ রান করেন তিনি। এছাড়া মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান। উসামা মীর করেন ১০ রান। রাজশাহীর আর কোনো ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি।

ঢাকার বোলারদের মধ্যে সাকিব আল হাসান একাই নিয়েছেন চারটি উইকেট। সাদমান ও মোসাদ্দেক নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। এছাড়া কাইরন পোলার্ড ও শহিদ আফ্রিদি নেন ১টি উইকেট।

এর আগে রাজশাহীর চরম বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগে ঢাকার দুই ওপেনার জো ড্যানলি ও সুনিল নারিন বিশাল এক জুটি গড়েন। মূলতঃ তাদের দু’জনের ১২৯ রানের এ জুটির ওপর ভর করেই ঢাকা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তোলে ২০৫ রান।

এমএএন/আইএইচএস/জেআইএম

Advertisement